Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাইক্লিংয়ের রোড ওয়ার্ল্ড রেস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:১২ পিএম

বাংলাদেশ সাইক্লিংয়ের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো রোড ওয়ার্ল্ড রেস চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাচ্ছে সাইক্লিস্টরা। আগামী বছরের যে কোন সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। এতে রোড রেসের টিম ইভেন্টে ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে খেলবেন বাংলাদেশের সাইক্লিস্টরা। তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনীর। লন্ডন থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি জানান, ‘সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে আমরা আবেদন করেছিলাম রোড ওয়ার্ল্ড রেস চ্যাম্পিয়নশিপ রেসে খেলার জন্য। বিশ্ব সাইক্লিং ইউনিয়ন (ইউসিআই) সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে একটি ওয়াইল্ড কার্ড দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে।’ ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিলেও বেশীরভাগ সময় এশিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল বাংলাদেশের সাইক্লিং। এবার সেই গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব আসরে যাচ্ছেন লাল-সবুজের সাইক্লিস্টরা। ২৬-৩০ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ইয়র্কশায়ারের হ্যারোগেটসে অনুষ্ঠিত হয় ইউসিআইয়ের কংগ্রেস। সেখানে অংশ নেন মুনীর। আগামী বছর সুইজারল্যান্ডের এইজেল শহরের ভড ও মার্টিগনি শহরের ভেলাইস ক্যান্টনসে অনুষ্ঠিত হবে রোড ওয়ার্ল্ড রেস চ্যাম্পিয়নশিপ। এ টুর্নামেন্টের দলগত ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য ইউসিআইয়ের কাছে আবেদন করেন তিনি। এতে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ওয়াইল্ড কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। মুনীর বলেন, ‘এবারই প্রথম আমরা আবেদন করেছি। তাই কর্তৃপক্ষ ওয়াইল্ড কার্ড দিতে সম্মত হয়েছে। আসলে আগে কেউ আবেদনই করেনি। আশাকরি সব ঠিক থাকলে সুইজারল্যান্ডের রোড ওয়ার্ল্ড রেস চ্যাম্পিয়নশিপে চার থেকে ছয় জনের বাংলাদেশ পুরুষ সাইক্লিস্ট দল অংশ নেবে।’

লন্ডনে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে নতুন সদস্য দেশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে মালদ্বীপকে। তাছাড়া আসন্ন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস উপলক্ষ্যে নাকি আয়োজক নেপালসহ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন সভাপতির। এ প্রসঙ্গে মুনীর বলেন, ‘আমরা নেপালের সঙ্গে এসএ গেমস নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা এবারের গেমসে ছয়টি ইভেন্টের মধ্যে ক্রস কান্ট্রি (জঙ্গলের মধ্য দিয়ে সাইক্লিং) এবং ডাউন হিল (পাহাড়ে সাইক্লিং) নামক দু’টি মাউন্টেইন বাইক ইভেন্ট রেখেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। মাউন্টেইন বাইকে অভিজ্ঞতা কেবল নেপাল ও শ্রীলঙ্কারই রয়েছে। ফলে বাকি দেশগুলো এতে বাধা দেয়। এখন দেখা যাক গেমসে আসলে তারা কি করতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘নেপাল এসএ গেমসে আমরা পুরুষদের ৪০ ও ১০০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুট এবং নারীদের ৩০ ও ৮০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুটে অংশ নিচ্ছি। তাই মাউন্টেইন বাইক নিয়ে আমাদের তেমন কোন বাথা ব্যাথা নেই।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাইক্লিং
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ