Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এনপিও-ডিসিসিআই সমঝোতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৫৮ পিএম

জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। আজ এ লক্ষ্যে দু’ পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিও’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং ডিসিসিআই’র পক্ষে সংগঠনের সভাপতি ওসামা তাসীর স্বাক্ষর করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিসিসিআই’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) সাথে বেসরকারি সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সেতুবন্ধন জোরদারে কাজ করবে।

বিভিন্ন শিল্পখাত ও উপখাতে উৎপাদনীলতা বাড়াতে এনপিও এবং ডিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪টি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হবে। এনপিও এসব কর্মশালায় রিসোর্স পারসন প্রেরণ করবে। অন্যদিকে ডিসিসিআই এসব প্রশিক্ষণের ব্যয়ভার বহন করবে। পাশাপাশি ডিসিসিআই কেন্দ্রিয়ভাবে প্রতিবছর উৎপাদনশীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২টি সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন করবে। এনপিও এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দেবে।

এছাড়া, ডিসিসিআই প্রতিবছর ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপনে এনপিওকে সহায়তা করবে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডিসিসিআই এর প্রধান কার্যালয় এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

সমঝোতা স্মারকে আরও উল্লেখ করা হয়, এনপিও প্রতিবছর ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে ডিসিসিআই’র কার্যালয়ে প্রেরণ করবে। সে অনুযায়ী ডিসিসিআই সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত এবং আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে। উভয় প্রতিষ্ঠান এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) প্রদত্ত টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ করবে বলেও সমঝোতায় উল্লেখ করা হয়।

শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগকে দেশের শিল্পখাতের উন্নয়নে একটি মাইল ফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ষোল কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে শিল্পখাতসহ সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের এ গুণগত পরিবর্তনের প্রশংসা করছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাত ও উপখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার হবে। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যান্য চেম্বার ও ট্রেড বডি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগে সামিল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে শিল্প সচিবের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির অষ্টাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম, বিএসইসি’র পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, বিএসএফআইসি’র পরিচালক মীর জহুরুল ইসলাম, বিসিক পরিচালক মো. আবদুল মান্নান, বিসিআইসি’র পরিচালক মো. শাহীন কামাল, এনপিও’র পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভনসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শিল্পসচিব এনপিও’র কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা দেন। তিনি ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তার মধ্যে এ বিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। এ লক্ষ্যে তিনি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালা ও অবহিতকরণ সভা আয়োজনের জন্য এনপিওকে পরামর্শ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সমঝোতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ