গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।
সোহেল নাদির খান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রনের জন্য কি কেউ নেই ? এদের নানাবিধ অপকর্মে দেশের মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত।’
‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সততা স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার অভাব আছে জনগণের স্বার্থে দেশের স্বার্থে শক্তিশালী না এই কারণে দেশজুড়ে চলছে অরাজকতা । সব জায়গাতেই প্রতিনিয়ত নির্যাতন হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ ।’ - মাসুদুর রহমান তোতার মন্তব্য।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ওমর সুফি লিখেন, ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বললেই এইভাবে মাইর খাইতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড় তে হবে।এই মহিলা ঘুষ দেয় ছাত্রলীগকে, তার প্রতিদান স্বরুপ আজ ছাত্রলীগ সামান্য উপহার দিয়েছে আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে।এমন অসভ্য লোকদের বিরুদ্ধে বললেই আপনি হবেন ঘরছাড়া, বাড়ীছাড়া, দুনিয়া ছাড়া।’
‘এটাই এই দেশের বিদ্যাপীঠের অবস্থা! এক ভিসির জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ক্ষতি!’ - আফসোস করে লিখেন হাসান আবির।
জসিম উদ্দিনের দাবি, ‘শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।’
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেনি বলে দাবি করেছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। ভিসির কাছে এইচএম রিয়াদুল ইসলাম রাকিবের প্রশ্ন, ‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আর কি কি করবেন আপনি? একজন ভিসির অবস্থা যদি হয় এই মানুষ শিখবে কার কাছে?’
‘দেশের সর্বপ্রথম এবং সর্বোচ্চ কলঙ্কিত মহিলা ভিসি। লজ্জিত’ - আনিকা নাওয়ার রহমানের মন্তব্য।
বিকেলে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শোয়েব মাহমুদ লিখেন, ‘যৌক্তিক আন্দোলন দেখলেই হল ছাড়ো। আন্দোলন থামানোর ভাল এক উপায় পাইছে। দেশটা আর কত নিচে নামালে এরা থামবে?? ছাত্রলীগ তো আছেই বাঁকি কাজ করার জন্য!’
সামাউন ইকবাল লিখেন, ‘এ জাতীয় প্রতিটা আন্দোলনেই সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করে দাবি মেনে নেয়। মাঝখান থেকে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে কেন যে নিজেদের বদনামের বোঝা বাড়ায়, সেটাই আমার বুঝে আসে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।