Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সফররত নির্বাহী পরিচালকরা জানিয়েছেন যে তারা বাংলাদেশে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা দেবেন। সেই সাথে তারা গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্জিত অবিশ্বাস্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, এ দেশের আরও অগ্রগতির জন্য তারা সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।

বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, তারা বাংলাদেশে ‘অবিশ্বাস্য উন্নয়ন’ প্রত্যক্ষ করেছেন এবং এ দেশ সব সামাজিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তারা এসব কথা বলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের জানান।

বাংলাদেশ সরকার তাদের উন্নয়ন নীতিমালা ও বিশ্বব্যাংকের তহবিলে পরিচালিত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করায় বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ এবং প্রশংসা করেন।

তারা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সাহায্যের জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের দুয়ার খুলে দেয়ায় তারা খুবই মুগ্ধ হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে জানান যে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে তারা কক্সবাজার সফর করেছেন। তারা আরও বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাংক সব ধরনের সহায়তা দেবে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতি হলো গ্রামীণ এলাকার মানুষজন যাতে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পরে সরকার খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ‘সে কারণেই আমরা এসব খাত বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করেছি’।

বিভিন্ন আর্থসামাজিক খাতে দেশের উন্নয়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের অবহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতার পরে দারিদ্র্যের হার ৮২ শতাংশ ছিল যা এখন ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের মুক্তি। ‘তিনি দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকার দেশের রেল, সড়ক, নদী ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করছে।

তিনি বলেন, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সরকারের লক্ষ্য থাকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সারাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রসারিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুবকদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করার জন্য সরকার সব উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে যা তাদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে রাখবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মুখ্য সচিব এম নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

এর আগে, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুব্রামণি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সুব্রামণি বলেন যে তিনি কয়েকটি গ্রামাঞ্চল এবং ডিজিটাল কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং দেশে নারীর ক্ষমতায়নের সাক্ষী হয়েছেন। ব্যাংকের সুদের হার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে সুদের হার এক অংকে আনার নির্দেশনা দিয়েছে।

সূত্র: ইউএনবি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা সঙ্কট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ