মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পদত্যাগ না করলে বিরোধী দলীয় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়ত-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান। তার এই হুমকির পর রোববার ইসলামাবাদে ইমরান খানের বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত বছরের নির্বাচনে জালিয়াতি করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ এনে ইমরান খানকে পদত্যাগ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ইসলামাবাদে বিক্ষোভরত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা। পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য গত দুই দিন ধরে ইসলামাবাদে টানা বিক্ষোভ করছেন তারা।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা দেশটির বিরোধী দল জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান হুমকি দিয়ে বলেছেন, দুদিনের আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগে যদি ইমরান খান পদত্যাগ না করেন, তাহলে বিরোধীদলীয় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করবেন। মাওলানা রেহমানের এই হুমকির পর ইসলামাবাদে ইমরান খানের বানি গালার বাসভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছে। রাজধানী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ভবন ও স্থাপনা সুরক্ষায় এলিট ফোর্স ও প্যারামিলিটারি র্যাঞ্জার্সের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, সংসদ ভবনসহ স্পর্শকাতর বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। মাওলানা ফজলুর রেহমানের হুমকির পর ইসলামাবাদের বানি গালাতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের চারপাশের রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সড়কই একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়নি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক বলেছেন, বিক্ষোভের আয়োজক জমিয়ত-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজুলর রেহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হবে। কারণ ফজুলর রেহমান বলেছেন, তিনি ইমরান খানকে গ্রেফতার করবেন।
শুক্রবার ইসলামাবাদে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। ২০১৮ সালে দেশটির নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মাওলানা ফজলুর রেহমানের রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য বিরোধী দল এই বিক্ষোভ করছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর করাচি থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছার পর থেকে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। মাওলানার নেতৃত্বে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে দেশটির প্রধান দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ।
সূত্র : আইএএনএস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।