Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইন্দোনেশিয়ায় এক আধ্যাত্মিক নেতাকে পরকীয়ার অভিযোগে প্রকাশ্য বেত্রাঘাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৯, ২:২৪ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে আচেহ উলামা কাউন্সিলের (এমপিইউ) সদস্য মুখলিস বিন মোহাম্মদকে বিবাহিতা নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকায় প্রকাশ্যে ২৮ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় শরিয়া আইন কার্যকরে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল মুখলিসের সংগঠন এমপিইউ। ইন্দোনেশিয়ার কট্টর রক্ষণশীল আচেহ প্রদেশেই একমাত্র শরিয়া আইন কার্যকর রয়েছে। শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
শুধু পরকীয়া বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কই নয়, সমকাম আর জুয়ার জন্যও আচেহতে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। মুখলিসের শহর আচেহ বেসারের ডেপুটি মেয়র হুসাইনি ওয়াহাব বিবিসিকে বলেন, ‘এটি আল্লাহর আইন।

দোষী প্রমাণিত হলে সবাইকেই বেতের মার খেতে হবে। সে এমপিইউ সদস্য হলেও রেহাই নেই।’ গত সেপ্টেম্বরে কর্মকর্তাদের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে এই জুটি।
তারা পর্যটক অধ্যুষিত এক সৈকতের কাছে একটি গাড়িতে যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন। হুসাইনি জানিয়েছেন মুখলিসকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হবে।
এই সাজাপ্রাপ্ত ৪৬ বছর বয়সী ব্যক্তি একজন ইসলামী আধ্যাত্মিক নেতাও। ২০০৫ সালে আচেহতে শরিয়া আইন কার্যকর হওয়ার পর তিনি প্রথম ধর্মীয় নেতা যাকে বেত্রাঘাত করা হলো।

এমপিইউ’র সরাসরি ত্বত্তাবধানেই আচেহতে সব ধরনের শরিয়া শাস্তি কার্যকর হয়ে থাকে। শরিয়া আইনের আওতায় পরকীয়া, জুয়া খেলা, মদ তৈরি, বিক্রি ও পান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যৌন সম্পর্কের সময় ধরা পরা এক ব্যক্তিকে ২০১৭ সালে ৮৬ বার বেত্রাঘাত করা হয়। বেতগুলো বানানো হয় রাতান গাছ থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ