পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনের লোক পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবার পর প্রায় আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। মাদরাসা ছাত্র শাহাদাত হোসেনের সন্ধান পাচ্ছে না তার পরিবার। মা হারা একমাত্র পুত্র শাহাদাতের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা রফিকুল ইসলাম।
শাহাদাতের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কেউই শাহাদাতকে আটক বা গ্রেফতারের কথা স্বীকার করছে না। অসহায় রফিক পুত্র শাহাদাতকে ফিরে পাবার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব উত্তরার অধিনায়ক, র্যাব ইলেভেনের অধিনায়ক, নরসিংদী জেলা প্রশাসক, নরসিংদী পুলিশ সুপার, মাধবদী থানার ওসিসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। আবেদনপত্রে রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, তার একমাত্র পুত্র ১৫ বছর বয়সী শাহাদাত হোসেন পৌলানপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়তো। গত ৭ মার্চ রাতে সে তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। রাত দুইটায় দিকে ৮/১০ লোক একটি কালো একটি সাদা গাড়ি নিয়ে তার বাসায় গিয়ে দরজায় কড়া নেড়ে নিজেদেরকে আইনের লোক পরিচয় দেয়। আইনের লোকের কথা বলায় রফিকুল ইসলাম উঠে দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথেই লোকগুলো ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার পুত্র শাহাদাতকে খুঁজতে থাকে। রফিক পুত্র শাহাদাতকে ঘুম থেকে তুলে আনলে আইনের লোক পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা তাকে আটক নিয়ে যেতে চাইলে রফিকুল ইসলাম তাদেরকে বাধা দেয়।
তারা জানায়, শাহাদাতকে তারা কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে সকালে বাসায় দিয়ে যাবে। একথা বলে আইনের লোক পরিচয়ধারীরা শাহাদাতকে নিয়ে যায়। রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে তার চাচা রমজান মিয়াকে জানালে তিনি জানান যে, রাত দেড়টার দিকে অটোচালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে কালো হাইয়েছ গাড়ি আরোহী অজ্ঞাত কয়েকজন লোকের সাথে তার দেখা হয়। কথা বার্তার এক পর্যায়ে একজন অজ্ঞাতনামা লোক রমজান মিয়ার মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। রাত দুইটার পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ০১৭৩৩০১৯৫১০ নাম্বার থেকে রমজান মিয়ার নাম্বারে একটা মিসডকল আসে। রমজান মিয়ার নাম্বার থেকে পুনরায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম্বারে ফোন করে ঘটনা জানালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানান, তারা কাউকে আটক করেনি।
পরদিন সকালে ঘটনাটি লিখিতভাবে মাধবদী থানা পুলিশকে জানায় রফিকুল ইসলাম। পুলিশও শাহাদাতের কোন হদিস করতে পারেনি। গতকাল মঙ্গলবার পিতা রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, তার ছেলে শাহাদাত হোসেন যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হোক। আর যদি কোন অপরাধী না হয়ে থাকে তাহলে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।