পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। সারাদেশের তৃণমূল নেতাদের চাপে কেন্দ্রীয় নেতারা এবার চেয়ারপার্সনের মুক্তির লক্ষে কর্মসূচি নিতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যে পেশাজীবীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বৃহত্তর সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপিও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, সভা-সমাবেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ৭৫ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিল থেকে তিনি রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই বলে দলীয় এমপি ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিএনপি দলীয় সাতজন সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এছাড়া তার বোন, ভাই এবং স্বজনরা দুই দফা দেখা করেছেন। গত ১১ অক্টোবর এবং সর্বশেষ গতকাল বোন সেলিমা ইসলাম বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত শেষে তিনি জানান, তার (খালেদা) শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি খারাপ। নিজ হাতে খাবারও তুলে খেতে পারছেন না। অন্যের সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতেও পারেন না। দলীয় প্রধানের এ অবস্থায় সারাদেশের নেতাকর্মীরা উৎকণ্ঠিত। সবাই চাচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি লক্ষে দ্রæত আন্দোলন কর্মসূচি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ২০ মাস যাবত কারাবন্দি রয়েছেন। তার মুক্তির জন্য বিএনপি এখন পর্যন্ত রাজপথে কোনো জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতা বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশেই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল ছিল। সবখানেই চেয়ারপার্সনের মুক্তির লক্ষে জোরালো কর্মসূচি ঘোষণার দাবি ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মসূচি না দিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আন্দোলন শুরু করবে অনেক সমাবেশে এমন বক্তব্যও অনেকে দিয়েছেন। রাজপথে মিছিল সমাবেশ করার সাহস না থাকলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি দেয়ারও দাবি জানান অনেক নেতা। তারা বলেন, আমাদের নেতা, গণতন্ত্রের মা, তিনি যদি মিথ্যা মামলায় প্রায় দুই বছর কারাগারে বন্দি থাকতে পারেন তাহলে আমরা কেন স্বেচ্ছায় কারাগারে যেতে পারব না। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপের মুখে কেন্দ্রীয় নেতারা এবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আটকের পর তার আইনজীবীরা সব সময় বলে আসছিলেন যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তবে সময় যত গড়ায় আইনী প্রক্রিয়ায় তার মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সিনিয়র আইনজীবী এবং দলের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারেন আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়াকে শুধুমাত্র আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এ সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করে রেখেছে। তাই তাকে শুধুমাত্র আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাকে মুক্ত করতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমান উল্লা আমান বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) মুক্ত করতে আমরা এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিক্ষোভ-মিছিল, সভা-সমাবেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি নেয়া হবে।
স¤প্রতি দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে খালেদা জিয়া মুক্তির বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একজন এমপি বলেন, জামিনের বিষয়ে কথা এলে তিনি বলেন, জামিন হবে। ওরা (সরকার) আমাকে কতদিন আর আটকে রাখবে। সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ এ বিষয়ে বলেন, নেত্রীর মতো আমরাও আশাবাদী তার মুক্তি হবে। তবে সেটা যত আগে আমরা করতে পারব তার জন্য তত ভালো হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া কারাবন্দি আছেন। পুরান ঢাকায় পুরনো কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কারা হেফাজতে এই হাসপাতালের কেবিন বøকের ৬২১ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।