বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। অন্যদিকে ভিসির অপসারণের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ভিসির পক্ষের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মৌন মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে। বুধবার দিনের বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচী পালিত হয়। প্রথমে সকাল ১১ টার দিকে ভিসিপন্থীদের নতুন প্লাটফর্ম ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে মৌন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংহতি সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদেই গণজাগরণ হয়। এই গণজাগরণ প্রমাণ করে, ভিসির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হচ্ছে তা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।’
ভিসিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা আসুন, দেখুন কত মানুষ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই সমাবেশ প্রমাণ করে আপনাদের আন্দোলন যৌক্তিক নয়। তাই আসুন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আন্দোলন না করে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করি এবং উন্নয়নের পক্ষে থাকি।’
ভিসির পক্ষের আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘ভিসির বিরুদ্ধে যে ষড়ষন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়ষন্ত্রের প্রতিবাদে আমাদের তিন দিনের কর্মসূচির আজ ছিল প্রথম দিন। আগামী ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং ২২ অক্টোবর ‘চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিচার দাবিতে ভিসির্ বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’
এদিকে ভিসির অপসারণের দাবিতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মুরাদ চত্ত¡রে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ভিসির অপসারণের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মারুফ মোজাম্মেলের সঞ্চালনায় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির আর নৈতিক কোনো অধিকার নেই এই সম্মানিত পদে থাকার। আপনি দুর্নীতির সঙ্গে স্পষ্টভাবে যুক্ত। এখন নতুন করে দলভারী করে আপনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন আপনি দুর্নীতিবাজ নন। শিক্ষকদের সন্তানদের চাকরি আর টাকার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের দিয়ে মহাসমাবেশ করাচ্ছেন। আমরা স্পষ্টভাবেভাবে বলতে চাই, এসব কাজ করে ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।