পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বসন্তের কোকিলে ভরে গেছে বিএনপি। দলের বড় বড় পদ বাগিয়ে রয়েছেন শত শত নেতা। কিন্তু দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায় না। নতুন কমিটি গঠন ও জাতীয় নির্বাচন এলে পদ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌঁড়ঝাপ করেন, সক্রিয় হয়ে উঠেন। কিন্তু দলের কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায় না। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ। তারা এই সুবিধাবাদী নেতাদের ‘বসন্তের কোকিল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ২০ মাস ধরে কারাবন্দি। কারাবন্দি হওয়ার পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে প্রতিটি আন্দোলন-কর্মসূচিতে ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু নেতার অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে- নির্বাচন এলে এবং কমিটি গঠনের সময় হলেই ‘পদের প্রত্যাশায়’ কিছু নেতা সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন, কিছুদিন থাকেন সক্রিয়। নির্বাচনে মনোনয়ন ও কমিটিতে পদ পাওয়ার পর আর রাজপথে দেখা যায়না ‘বসন্তের কোকিল’ এসব নেতাকে। এ নিয়ে সক্রিয় ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনে সক্রিয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বাস করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই রাজপথের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকেন। আবার সভা-সমাবেশের মতো নিরাপদ কর্মসূচিতে কিছু নেতাকে দেখা গেলেও ঝুঁকি থাকে এমন কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় না অনেককেই। অথচ বিএনপির নির্বাহী কমিটির পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ৫৯২ জন নেতাকে। যাদের বেশিরভাগকেই দেখা যায় না দলের কর্মসূচিতে। কেউ কেউ হঠাৎ বছরে-ছয় মাসে দু’একটি কর্মসূচিতে আসেন। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার আগামী দিনের মুক্তি আন্দোলনে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজপথে সক্রিয়ভাবে দেখতে চায় বিএনপির তৃণমূল। পদ পাওয়ার পর যারা নিষ্ক্রিয় থাকেন তাদেরকে পরবর্তীতে বিবেচনায় না নেয়ারও দাবি করেছেন তারা।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তারা বলছেন, কর্মী-সমর্থকেরা কাঁদেন খালেদা জিয়ার জন্য আর নেতারা কাঁদেন নিজের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও কমিটি গঠনে বে-ইনসাফকেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মতামত ব্যক্ত করে লিখেছেন, বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরে বিদ্যমান বে-ইনসাফই গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের জননী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের প্রধান অন্তরায়!!! একশ্রেনীর নেতাকর্মীরা শতভাগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে নিজের জীবন ও সম্পদ বিসর্জন দিচ্ছে, আরেক শ্রেনীর নেতাকর্মীরা শতভাগ কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে ঘরে বসে ঘুমাচ্ছে কিংবা নিজের চাকরী, ব্যবসা, ধান্দা করে বেড়াচ্ছেন। তার পরেও সেই অনুপস্থিত ও নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক পদ বিদ্যমান থাকছে। সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিদ্যমান এই বে-ইনসাফই একটি সফল ও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান অন্তরায়। যদি পদধারী একজন নেতা পদ নিয়ে ঘরে বসে থাকে এবং সেই অপরাধে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় এবং রাজপথে সক্রিয় নেতাকর্মীদের সঠিক ও যৌক্তিক পদে পদায়ন না করা হয়, তাহলে কেন নেতাকর্মীরা রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করবে?
তিনি আরও লিখেন- বিএনপির উচিত গতানুগতিক ও সাধারণ কর্মসূচিগুলোতে অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলোকে দূরে রেখে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি, ঢাকা মহানগর ও জেলা কমিটি, সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সামর্থের উপর নির্ভর করে, কর্মসূচি সফল করার সামর্থ অর্জন করা এবং সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, মহানগর ও জেলা এবং থানা কমিটির সকল নিষ্কিয় নেতাদের দলের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে, সক্রিয় ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের, সেসব পদে দায়িত্ব দিয়ে দলকে গতিশীল করা।।
বিএনপির এই নেতার লেখাতেই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ক্ষোভ ঝেরেছেন। মোঃ শামীম নামে বিএনপির এক নেতা লিখেছেন-নিস্ক্রিয়দের পদায়ন করা মানেই সক্রিয়দেরও নিস্ক্রিয় করে দেয়া। নাজমুল হাসান লিখেছেন- কেউ জীবন দিবে, গুম হবে আর কেউ পদ পজিশন নিয়ে বাসায় ঘুমাবে! হুমায়ুন কবীর লিখেছেন- জীবনে একদিন জেল, একটি রাজনৈতিক মামলা, প্রত্যক্ষভাবে একটি হরতাল, পিকেটিংয়ে অংশগ্রহণ করেনি কিন্তু কমিটির সময় একটি সিন্ডিকেট এর কারনে সর্বদাই পোস্ট পেয়ে থাকেন, দেশের প্রতিটি জেলায় এ রকম নেতা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন লিখেন- পদেও থাকবে প্রোগ্রামে থাকবে না, ঘরে ঘুমাবে। পরিবেশ অবস্থা বুঝে মাঝে মাঝে উঁকি মারবে। এদের নাম উল্লেখ করে লেখা উচিত।
এইচ এম রাশেদ লিখেছেন- দলের দুর্দিনে যে নেতা কোন সভা সমাবেশে না থাকে আমি মনে করি সে নেতার দলে থাকার কোনো অধিকার নেই, কারন তারা দলের জন্য রাজনীতি করে না। মোক্তার আকন্দ লিখেন- বিএনপির অনেক নেতাই আছে, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে টিভি টকশো করে টাকা কামায়। আর কিছু হলেই তারেক রহমানের ভুল ধরে কথায় কথায়। অথচ কোনদিন তাদেরকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ কোন আন্দোলনেই দেখিনা।
দলের নির্বাহী কমিটির কী অবস্থা?
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েক মাস পর জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। নির্বাহী কমিটিতে ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটি। শূণ্য থাকা দুইটি পদে কিছু দিন আগে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমানকে মনোনীত করা হয়েছে। তরিকুল ইসলাম, ব্রিগে. জে. (অব) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার ইন্তেকাল করেছেন। ১৯ সদস্যের এই কমিটিতে এখন রয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ২০ মাস ধরে কারাবন্দি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসাধীন। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা অসুস্থ। মামলা জটিলতায় ভারতে রয়েছে সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ৭৩ জন সদস্য। এদের মধ্যে সরোয়ারী রহমান, এড. কবির হোসেন, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, একেএম মোশাররফ, জাফরুল হাসান অসুস্থ। বাকীদের মধ্যে কমিটি গঠন এবং নির্বাচনের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন মুশফিকুর রহমান, লুৎফর রহমান আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আখতার হোসেন, প্রফেসর মাজেদুল ইসলাম, মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, এএসএম আব্দুল হালিম, খন্দকার শহিদুল ইসলাম, এসএম জহুরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মুহম্মদ হায়দার আলী, রোজি কবির, আতাউর রহমান ঢালী, ডা. আব্দুল বায়েজ ভূইঁয়া ও আব্দুস সালাম। মাঝে মাঝে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা মেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, এসএম ফজলুল হকের। আর মৃত্যুবরণ করেছেন- হারুনার রশিদ খান মুন্নু, ফজলুর রহমান পটল, আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সঞ্জিব চৌধুরী।
নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ৩৭ জন। এদের মধ্যে ২জনকে স্থায়ী কমিটিতে নেয়া হয়েছে। এখন এই সংখ্যা ৩৫। এদের মধ্যে অসুস্থ রয়েছেন সাদেক হোসেন খোকা, বেগম রাবেয়া চৌধুরী, প্রফেসর এম এ মান্নান ও আবদুল মান্নান। আর নিষ্ক্রিয় রয়েছেন এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু। প্রয়োজন হলে কর্মসূচিতে আসেন না হলে নেই- টিএইচ খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। আর মামলার কারণে দেশের বাইরে আছেন শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও ড. ওসমান ফারুক। নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। মৃত্যুবরণ করেছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও কারাগারে আছেন আব্দুস সালাম পিন্টু।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব একজন ও যুগ্ম মহাসচিব সাতজন। এদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে ৪জনকে প্রায় সকল কর্মসূচিতেই দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন আসলাম চৌধুরী। আর হারুন অর রশীদ গত নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে দলকে সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন। তাকেও দলের কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় না।
নির্বাহী কমিটিতে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পাদকীয় ১৬৩টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে শূণ্য রয়েছে ৫টি। সম্পাদকীয় পদের নেতারা বেশিরভাগ সক্রিয় থাকলেও। প্রতিটি কর্মসূচিতে পাওয়া যায় হাতে গোনা কয়েকজনকে। বেশিরভাগ নেতাই বিরতি দিয়ে কর্মসূচিগুলোতে অংশ নেন। আর একেবারে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছেন- কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান জামান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সৈয়দ একরামুল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মুনির খান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ- সম্পাদক হাজী আমিনুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু, মানবাধিকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। পদত্যাগ করেছেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ। আর মৃত্যুবরণ করেছেন- ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বদরুজ্জামান খসরু, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোজাফফর হোসেন।
নতুন পুরনো মিলে নির্বাহী কমিটির সদস্য ২৯৩ জন। এদের মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন- মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, মেজর (অব.) হানিফ, এস এ খালেক, আহমেদ ইকবাল হাসান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, আলমগীর মোঃ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, এবাদুর রহমান চৌধুরী, মুহাঃ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, কাজী সেকান্দার আলী ডালিম, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আলম, হাফিজ ইব্রাহিম, মোশাররফ হোসেন মঙ্গু, শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, রফিকুল ইসলাম রাসেল, আবু সাঈদ, এসএম শফিউজ্জামান খোকন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, আহমেদ আলী মুকিব, নূর মোহাম্মদ খান, সাইদুর রহমান বাচ্চু। মাঝে মাঝে দেখা মেলে নাসির চৌধুরী, শফি আহমেদ চৌধুরী, টিএস আইয়ুব, বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, এম শামসুল আলম, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে। পদত্যাগ করেছেন- আলী আজগর লবী, মোঃ শুকরানা, মুবাশ্বের আলম ভূইয়া। মৃত্যুবরণ করেছেন- এএফএম ইকবাল, মিঞা মোহাম্মদ সেলিম, শেখ আলী আশরাফ, আবুল কাশে চৌধুরী, সরওয়ার আজম। আর বহিষ্কার করা হয়েছে শফিকুর রহমান ভূইয়াকে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি কমিটিতে সবরকম লোকই থাকে। সবাই সামনে থাকবে না। কেউ কেউ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে। তবে সময়মতো সকলে সক্রিয় হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। নিষ্ক্রিয় নেতাদের পরবর্তীতে বিবেচনা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাহী কমিটি গঠনের ক্ষমতা বিএনপির চেয়ারম্যানের। তিনিই বিবেচনা করবেন কাকে কোথায় রাখা হবে। তিনি নিশ্চয় জানেন কে কিভাবে দলে ভূমিকা রাখছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পদে না থাকলেও অনেক নেতাকর্মী রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তারা বেগম জিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সফল করে তুলছেন। তিনি আরও জানান, নির্বাহী কমিটির যারা বিভিন্ন জেলার নেতা রয়েছেন তাদের অনেকেই নিজ নিজ এলাকাতে সক্রিয় রয়েছেন, কর্মসূচি পালন করেন।
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।