মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মমল্লপুরমের সমুদ্রসৈকতের কাছে একটি রিসোর্টে ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন যুগ শুরু হল। সেখানে উঠল না কাশ্মীর প্রসঙ্গ। দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিল, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে। আর বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলবে ভারত ও চীন।
চেন্নাই থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মমল্লপুরমের সমুদ্রসৈকতের কাছে একটি রিসোর্টে শুক্র ও শনিবারের দু’দফার বৈঠকের পর দৃশ্যতই খুশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মোদি বলেছেন, ‘উহানের শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও চীনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ককে জোরদার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। আর চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে (চেন্নাই কানেক্ট) দু’দেশই পারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর দু’দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে একই কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলে।
শুক্রবার রাতের বৈঠক সম্পর্কে চীনা প্রেসিডেন্ট মোদির সুরে সুর মিলিয়েই বলেছেন, ‘গত কাল প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) সঙ্গে আমার বন্ধুর মতো কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে খুবই আন্তরিক ভাবে। নতুন যুগ শুরু হল দু’দেশের সম্পর্কে।’ এ দিন গোখলে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক সেরে নেপাল রওনা হওয়ার আগে চীনা প্রেসিডেন্ট জানিয়ে গিয়েছেন বৈঠকে তিনি খুব খুশি। দু’দেশের সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু হতে চলেছে।’
কাশ্মীর নিয়ে কোনও অস্বস্তি যাতে মাঝপথে তৈরি না-হয়, সে জন্য কোনও প্রশ্ন ওঠেনি মমল্লপুরমে শি-মোদির দু’দফার বৈঠকে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই বৈঠকের সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে এবং দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে যে চাপ তৈরি করা শুরু করেছিল বেইজিং, তার থেকে বেরিয়ে কিছুটা খোলা বাতাস বইয়ে দেওয়া গিয়েছে সম্পর্কে। আপাতত কাশ্মীর নিয়ে কোনও বড় মাপের বিরোধিতা বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আসবে না— এমনটাই আশা করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, ‘দ্বিপাক্ষিক স্বস্তি’ই হল মমল্লপুরমের মূল কথা। দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠককে চলতি পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জন্য বার্তাবহ বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বৈঠক শেষে চীনা প্রেসিডেন্টকে কূটনৈতিক বার্তাবহ এক অভিনব উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাকে হাতে বোনা সিল্কের এক ছবি উপহার দিয়েছেন মোদি। কোয়েম্বাতুরের শিরুমুগাইপুদুরের তাঁতিপাড়ার শিল্পীরা এই ছবি তৈরি করেছেন। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, চীনা প্রেসিডেন্টের গোটা ছবি সম্পন্ন করতে তামিল তাঁত-শিল্পীদের ৫ দিন সময় লেগেছিল। সূক্ষ্ম কারুকার্যখচিত লাল রঙের ছবির উপর ফুলের ডিজাইন দেওয়া। মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্টের ছবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।