পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পানি নিরাপত্তা ইস্যুতে মূল উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ভুটানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া একটি নদী। ভারতে এ নদীটিকে বলা হয় ব্রহ্মপুত্র। অন্যদিকে চীনে বলা হয় ইয়ারলুঙ সাঙপু। দ্রুত উন্নয়নশীল অঞ্চলের ভারত ও চীনের মধ্যে এখন মূল উদ্বেগের কারণ এটি। এই দুই দেশ ভাটির দেশ বাংলাদেশের ওপর কিভাবে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে তা তুলে ধরেছে সিএনএ এনালাইসিস ও সল্যুশন নামে ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। চীন, ভারত, ও বাংলাদেশ : ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকায় পানি সম্পদ প্রতিযোগিতা শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এ ইস্যুটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে দুই দেশকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হল : এই নদীর উৎপত্তিস্থল চীন। এখান থেকে ভারত-বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে এটি। নদীর কিছু অংশ ভুটানের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বের ৬টি রাজ্যের প্রায় ৫৭০ মাইল জায়গার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে নদীটি। ভারতের অংশে সিয়াং ও বাংলাদেশের অংশে যমুনা নামেও পরিচিত এটি। চার দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া এ নদী অববাহিকা ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত। বিশ্বব্যাংকের ধারণা অনুযায়ী, ভারত ও চীনে যথাক্রমে এই নদীর ৫০ শতাংশ ও ৩৪ শতাংশ রয়েছে।
নদীটি কৌশলগতভাবেই চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানত দেশটির পানিবিদ্যুতের জন্য এর গুরুত্ব অনেক। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ইতোমধ্যেই এ নদীতে একটি পানিবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি আরও চারটি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে, ভারত উত্তর-পূবাঞ্চলের অরুনাচল প্রদেশে পানিবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। আর এতেই উদ্বিগ্ন চীন। কারণ এ অংশ নিয়ে সীমানা বিরোধ চলছে দুদেশের মধ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের দুশ্চিন্তার কারণ হলো, এ নদীতে নৌবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারলে বিতর্কিত এলাকায় ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী হবে। সেই সাথে তা সীমানা আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলবে। এতে করে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সাতটি বড় নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র একটি। দেশটিতে এ নদীর বিশাল রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। নদীর ওপর অধিকার ধরে রাখা, শুধু চীনের সঙ্গে বিবদমান ভূমিতে ভারতের বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করবে না। সেই সাথে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিক্ষয় ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে এর। প্রতিবেদনে ভারত ও চীনের মধ্যে নৌ-অনুসন্ধানভিত্তিক তথ্য আদান-প্রদান বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চীনকে বন্যাকালীন সময়ের প্রকৃত তথ্য, বর্ষব্যাপি নদী প্রবাহের তথ্য আদান-প্রদান করতে বলা হয়েছে। একই সাথে ভারতকেও একই কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের উচিত তারা কতগুলো বাঁধ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে তা প্রকাশ করা। এছাড়াও এ প্রতিবেদনে ভারত, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বার্ষিক ত্রিজাতিক সংলাপের পরামর্শ দেয়া হয়। সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।