বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনার শীর্ষে থাকা ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে অবশেষে গ্রেফতার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি তারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দ্রুত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনার শীর্ষে আছেন অমিত সাহা। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয় আবরারকে।
অমিত সাহাকে গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় ফেইসবুক ব্যবহারকারী ওমর ফারুক লিখেছেন, ‘‘অনির্দিষ্টকালের রিমান্ডে নিয়ে আসল নির্দেশদাতাকে খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।’’
সাইদুর রহমান সোহাগ লিখেছেন, ‘‘ওকে গ্রেফতার করতে এতো সময় লাগলো কেনো! ওর খুঁটির জোর কোথায়? খুঁজে বের করা উচিত।’’
মেহেদী মিরাজ লিখেছেন, ‘‘সে উপস্থিত না থাকলেও তাকে গ্রেফতার করা ঠিক আছে। কারণ তার থেকে এই টর্চার সেলের আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আর সে নিজেও সাধু বাবা নয় বলে মনে করি, টর্চার সেলের বাসিন্দা আবার সাধু হয় কি করে?’’
দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে রেজা করিম লিখেছেন, ‘‘সময় নষ্ট না করে দ্রুত বিচার শুরু কর! আবরার কবর থেকে সব দেখতে পাচ্ছে। সর্বোচ্চ শাস্তি হলে অন্তত আবরারের আত্মা শান্তি পাবে।’’
‘‘নাটকের উপসংহার আমরা সবায়ই জানি। কী হবে শেষমেষ কোনমতে চাপা যাবে ব্যাপারটা কয়েকদিন পরেই। শুধু এটাই বলবো আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক। আর প্রত্যক্ষ পরোক্ষ যারা জড়িত ছিলো সবার বিচার করুক আল্লাহ’’ লিখেছেন ফারহানা খানম।
অমিত সাহাকে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে ফরহাদ আহমেদ ফাহাদ লিখেছেন, ‘‘সংবাদ সম্মেলনে আনা হোক। লুকিয়ে কোন বিচার কাজ যেন না করা হয়।’’
মো. মোহু লিখেছেন, ‘‘অমিত সহ সব ঠান্ডা মাথার খুনিদের বের করতে হবে হল থেকে। মেধাবী ছাত্রের হোস্টেলে খুনি থাকে কিভাবে?’’
‘‘আল্লাহ সবাইকে ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না কখনো, হোক সে নমরুদ বা ফেরাউন। কেউ ভবে চিরস্থায়ী নয়। আজ যারা ক্ষতায় কাল তারা সে পরিচয় দিতেও ভয় পাবে কারণ সময় পরিবর্তনশীল’’ অমিতের বিচার চেয়ে লিখেছেন জয়নাল হুসাইন।
সানজিদা ইকবাল লিখেছেন, ‘‘এতো নামীদামী মেধাবীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হয়ে যারা সহপাঠি হয়েও নিজের সহপাঠি ছোট ভাই আবরার ফাহাদকে তার সম্পূর্ণ মানুষিক আপ্রস্তুত অবস্থায় তাকে এতো ঠান্ডা মাথায় ডেকে নিয়ে গিয়ে, ধাপে ধাপে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে, তাদের ভিতরে একটা বালি কণা পরিমাণ মনুষ্যত্ব একদম নাই।’’
ক্ষোভের সাথে রাব্বি জামান রিমেল লিখেছেন, ‘‘এদের বিচার কখনো হবেনা জানি। তবুও আল্লাহ কোন না কোন মানুষের চোখের পানির মূল্য অবশ্যই দিবে। শহিদ আবরার এর দাদার চোখের পানিতে এই জমিন কেপে উঠছে। তার কান্নার আওয়াজে আসমানও কেঁপে উঠবে অবশ্যই।’’
নাসরিন হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এই হত্যার সাথে জড়িত প্রত্যেকটাকে নৃশংস কায়দায় মৃত্যু কার্যকর করা হোক। আর দেশের সবগুলো চ্যানেলে তা সরাসরি প্রচার করা হোক।’’
রানা দেব নাথ মন্তব্য করেছেন, ‘‘হিন্দু মুসলিম বুঝি না যারা অন্যায় করেছে তাদের মধ্যে কেউ যেন ছাড় না পায়। আবার কোন নির্দোষ ব্যাক্তি যেন সাজা না পায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এদের সবার যেন ফাঁসি হয় সেই কামনা করি।’’
অনু খান লিখেছেন, ‘‘শুধু গ্রেফতার হয়,এইটুকুই শুনি।কিন্তু ন্যায্য বিচার হয় এইটা কখনও শুনি না। কারণ এর আগেও ফাঁসির আসামীদের মাফ করে দেওয়া হয়েছে।’’
‘‘মূল পরিকল্পনাকারী একজন অমিত সাহা। কারণ, অমিত আবরারের এক ক্লাসমেটের কাছে মেসেঞ্জারে জানতে চেয়েছেন ‘আবরার ফাহাদ কোন হলে থাকেন’। আর অমিত সাহার রুমেই আবরারকে ১ম ধাপে পিটানো হয়। অমিত কি ছাত্র নাকি সন্ত্রাসী?’’ লিখেছেন হাসান মুরাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।