পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবিদুর রহমান নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে। চমেকের ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের এ ছাত্রকে ছাত্রদল কর্মী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে আলোচিত এ খুনের মামলার কোন আসামির সাজা হয়নি। ১২ আসামি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পেয়ে গেছেন।
বুয়েট ছাত্র আবরারকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চমেক ক্যাম্পাসসহ চট্টগ্রামের সর্বত্রই আলোচনায় এসেছে আবিদুর রহমানের মামলার রায়।
বিগত ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পিটুনির শিকার হয়ে দুইদিন পর ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদ। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
তারা হলেন- তৎকালীন ছাত্র সংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রহমান সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।
গত ১০ জুলাই আবিদ হত্যা মামলার রায়ে ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সব আসামিকে খালাস দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অশোক কুমার দাশ বলেন, সাক্ষীরা কোনো আসামি শনাক্ত করতে পারেননি। তারপরও রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সাক্ষ্য ও জেরায় আসামিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।
তবে এ রায়ে অসন্তুষ্ট আবিদের পরিবার। কখন রায় ঘোষণা হলো তা তারা জানতেও পারেননি বলে অভিযোগ করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।