প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দের কর্মকা- নিয়ে সমালোচনা করলেন সমিতির সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস। বর্তমান কমিটির বিভিন্ন কর্মকা-ের সমালোচনা করে ফেরদৌস বলেন, শিল্পী সমিতি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না। কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান না। এটা কারো ব্যাবসা না, পৈতৃক স¤পদও না। শিল্পীদের কল্যাণের জন্য এই সমিতি করা হয়েছে। যেখানে শিল্পীরা একত্রিত হবেন, বসবেন, গল্প করবেন, নিজেদের সুখ দুঃখ শেয়ার করবেন, নিজেদের সমস্যার সমাধান করবেন। এফডিসি আমাদের একটা জায়গা দিয়েছে। সেখানে শিল্পী সমিতির কার্যালয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ এটাকে সম্মান করা। এটা কারো ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যেটা এখন হচ্ছে। এখন যারা আছেন তারা এটাকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। অনিয়মের আখড়া যেন শিল্পী সমিতি। ফেরদৌস বলেন, যাদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নেই তাদের তারা ভোট পাওয়ার জন্য সদস্য বানিয়েছেন। অনেক যোগ্য লোক সদস্যপদ হারিয়েছেন। কিছু শিল্পীর নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। যারা শিল্পী সমিতির পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চান। তারা নিশ্চই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হন এখান থেকে। নইলে এত টাকা ঢেলে, ক্ষমতা দেখিয়ে কেন নির্বাচনের ছক কষবেন! শিল্পীদের তো এসব রাজনীতি মানায় না। তিনি বলেন, একটা অশুভ শক্তির হাত থেকে সমিতিকে বাঁচাতে সবাই এক হয়েছিলাম। দুঃখের ব্যাপার, এবার নিজেদের ভেতরেই সেই অশুভ আরেকটা শক্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমি যদি শিল্পীদের পাশেই দাঁড়াতে না পারি। আমি ওখানে কেনো যাব? যারা যাচ্ছে তাদের হাতে কোনো সিনেমা নাই। তারা গিয়ে ওখানে বসে আছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা সমিতিতে বসে থাকে। এটাকে নিজের পার্সোনাল অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। এটা খুব বাজে ব্যপার। অশিল্পীর নেতৃত্ব থেকে শিল্পী সমিতিকে বাঁচাতে হবে। গত দুই বছরে অনেক কিছু দেখা হয়েছে। কিছু বলতে গেলেই তোষামোদ করে, নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। শিল্পী সমিতিতে যে অনাচার শুরু হয়েছে এর সমাধান হওয়া দরকার। এটাতো একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এখান থেকে তো কেউ বেতন পায় না। তাহলে যারা এটাকে আঁকড়ে থাকার এতো আগ্রহ কেন? কেন এখানে তারা এতো টাকা খরচ করে। শুনেছি নির্বাচন করতে নাকি ২০ লাখ ৩০ লাখ টাকা তারা খরচ করে। তারা ভোট কেনে। ফেরদৌস বলেন, গত বছর নির্বাচনে আমার মাত্র ৬০০ টাকা খরচ হয়েছিলো। অথচ তারা নাকি ৩০ লাখ, ৪০ লাখ টাকা দিয়ে এখানে নির্বাচন করেছে। কেন? কিসের লাভ তাদের, কিসের লোভ তাদের? এটা বুঝতে পারছি না। এটা খতিয়ে দেখা উচিত সবার। আর সদস্যদের উচিৎ সঠিক মানুষকে নির্বাচিত করা। আমি এবার নতুনের পক্ষে। শিল্পী সমিতির নানা অনাচার নিয়ে ফেরদৌস বলেন, বিভিন্ন ক্লাব ও সমিতির নামে ঢাকা শহরে যে ধরণের অনাচার চলছে, শিল্পী সমিতিতে তার চেয়ে কম কিছু হচ্ছে না। সমিতির একটা নির্দিষ্ট সময় থাকবে, এটা কখন খুলবে, কখন বন্ধ হবে। কারও ইচ্ছে হলে সেখানে রাত বারোটা পর্যন্ত আড্ডা মারতে পারবে না। অথচ শিল্পী সমিতি রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কেন? কী প্রয়োজনে? কী হয় সেখানে? এভাবে রাত-বিরাতে সমিতি খুলে রাখায় এফডিসির কর্মকর্তারাও বিরক্ত। ফেরদৌস বলেন, এবার সদস্য পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল। মৌসুমীর প্যানেল থেকেই করতাম। আলাপও হয়েছিল। সময়ের অভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি কিছু ঝামেলাও ছিলো প্যানেল নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।