বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ অক্টোবর। এবারো মন্ত্রনালয়ের অযোগ্য ঘোষিত মেডিকেল কলেজগুলো এমবিবিএস’এ শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। বিগত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আগে ৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে সামগ্রীক বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তারা আদালতের স্থগীতাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করায়। এরমধ্যে একটি মেডিকেল কলেজের আর কার্যক্রম চালানোর অবস্থা নেই, আর একটির উত্তরণ ঘটেছে। বাকী ৭টি মেডিকেল কলেজের অবস্থার উন্নতি না হলেও তারা আদালতের আদেশের বলে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেনÑ চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ড, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমডিসি সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. শহিদুল্লা, বিসিপিএস’র সভাপতি প্রফেসর ডা. দীন মোহাম্মদ, ওভার সাইট কমিটির সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।
প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, আগামী শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দেশব্যাপী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে অন্য যেকোন বারের চেয়ে এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ওএমআরসহ প্রশ্নপত্র ছিল ৮ পৃষ্ঠা। এবার প্রশ্নপত্র ওএমআরসহ ২ পৃষ্ঠা করা হয়েছে, এতে কোন সেলাই নেই। ফলে এটি সরাসারি মেশিনে দিয়ে ফলাফল নির্নয় করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের চারটি সেট থাকত। এবার তা থাকছে না। এবারও ১০০টি প্রশ্নইে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রই হবে ভিন্ন ভিন্ন। অর্থাৎ একশটি প্রশ্ন একই থাকবে কিন্তু কারো সঙ্গে কারো মিল থাকবে না।
সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু বলেন, আগামী ১১ অক্টোবর দেশব্যাপী একযোগে ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ বছর সরকারি ৪ হাজার ৬৮টি আসন ও বেসরকারি ৬ হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার ৯ জন বেশি।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ, পরীক্ষার দিন সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নির্বিঘেœ চলাচল; নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, কোচিং সেন্টার বন্ধ করা, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা, পরীক্ষা কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কুচক্রী মহলের অপরাধ তৎপরতা বন্ধে কাজ করা হচ্ছে। এ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর সব পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া, সাইবার-ক্রাইম প্রতিরোধ এবং পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টায় থেকে পরীক্ষার দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতিসীমিত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র পাঠানোর জন্য ট্রাঙ্কের সাথে সংযুক্ত ট্র্যাকিং ডিভাইস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনশৃখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার করেছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ঢাকা মহানগরের ৫টি কেন্দ্রের ১১টি ভেন্যুতে ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী এবং ঢাকা বাইরে ১৫টি জেলায় ৩৫ হাজার ৯৮৫ পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে কেন্দ্র তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০৭ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কেন্দ্র ও ভেন্যুভিত্তিক টিম গঠন করে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিদর্শনকারী টিমসহ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, হেডফোন, ব্ল–টুথসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশপাশি ভর্তিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিন সকাল ৯টার মধ্যে আবশ্যিক ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।