Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির মহানায়কের ভ‚মিকা পালন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোর্তজা। গোলাম মোর্তজার নির্দেশে টেন্ডার কমিটির চার সদস্য প্রায় ২শ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বুঝে নেন বলে জানান টেন্ডার কমিটির সদস্যরা। সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ২শ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার আহŸান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজগুলো পান ঢাকার মিঠু ও সাজ্জাদ নামের দুই ঠিকাদার। টেন্ডার শিডিউলের যন্ত্রপাতির উৎপাদক দেশের নাম ছিল তিনটি। ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার ফরিদপুরের এক নির্দেশদাতার যোগসাজশে নি¤œমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। কিন্তু বিল সংগ্রহ করার সময় এক নম্বর যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেখিয়ে বিল সংগ্রহ করে। এভাবেই হাতিয়ে নিয়েছে ঠিকাদার মিঠু, সাজ্জাদ, নির্দেশদাতা ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা মহাখালীতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার গোলাল মোর্তজা। এদিকে কম মূল্যেও যন্ত্রপাতি কিনে উচ্চ মূল্যের যন্ত্রপাতি দেখিয়ে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদাররা। স্বাস্থ্য বিভাগের পিপিআর লংঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো ও হাসপাতালের সাবেক সুপার (সহযোগী অধ্যাপক) গণপতি বিশ্বাস শুভকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। এরপর শুরু হয় দুর্নীতির অজানা অধ্যায়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক সুপার ডাক্তার গণপতি বিশ্বাস শুভ জানান, আমি কোনো টেন্ডার আহŸান করি নাই। টেন্ডার আহŸান করেছিলেন সাবেক দুই সুপার। ডাক্তার সামসুল আলম ও ডাক্তার ওমর ফারুক। তিনি আরো বলেন, ঠিকাদারের কার্যাদেশ ও টেন্ডারের ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনও করেছেন তারা। এদিকে টেন্ডার কমিটির সদস্য ডাক্তার এনামুল হক ও ডাক্তার তোফাজ্জেল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের এক্সপার্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোর্তজা যন্ত্রপাতি যাচাই বাছাই করে। আমাদেরকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার পরই আমরা সিডিউল মোতাবেক যন্ত্রপাতি বুঝে নেই। যন্ত্রপাতি নি¤œমানের সরবরাহ করে থাকলে এর দায় দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোর্তজাকেই বহন করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে এক্সপার্ট নই। গোলাম মোর্তজার নির্দেশেই আমরা মাল বুঝে নেই। তিনি বলেছেন, সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি সঠিক আছে। এদিকে ফরিদপুরের সাধারণ জনগণের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার করে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহŸান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ