পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিতে চলছে পুনর্গঠন। দলকে শক্তিশালী করতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে গঠন করা হচ্ছে নতুন নতুন কমিটি। দু-একটি ছাড়া প্রতিটিতেই দেয়া হচ্ছে আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটিকেই দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার। ইতোমধ্যে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর আহ্বায়ক কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিতদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। বিএনপির ভ্যানগার্ড খ্যাত ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলের মাধ্যমে।
একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য অঙ্গসংগঠন এবং জেলা বিএনপিতেও কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ করে বিএনপির নবগঠিত জেলা আহ্বায়ক কমিটিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রে নতুনদের প্রাধান্য দেয়ার জন্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে এসব চিঠিতে বলা হচ্ছে, বিএনপির জেলা কমিটিগুলোতে পুরনোদের জায়গা হবে ৬০ শতাংশ এবং বাকি ৪০ শতাংশে আসতে হবে নতুন নেতৃত্ব।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল থেকে সব সংগঠনেই নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের পক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজপথে সক্রিয় তরুণ নেতৃত্বও দেখতে চান তিনি। দলকে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত করতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে চান তিনি। এ জন্য কৃষক দল, তাঁতী দল, মৎসজীবী দল, ড্যাব-এ্যাবের মতো পেশাজীবী সংগঠনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। একইভাবে জেলাগুলোতেও দেয়া হচ্ছে আহ্বায়ক কমিটি। ইতোমধ্যে প্রায় ২৭টি জেলায় দেয়া হয়েছে এই কমিটি। সর্বশেষ গত বুধবার ফেনী, সিলেট ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি জেলার কমিটি। প্রতিটি কমিটি গঠনের সাথে সাথে লিখিত নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেয়ার জন্য।
নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিগুলোর সূত্রে জানা যায়, কমিটি গঠনের পর বিএনপির দপ্তর থেকে দেয়া হচ্ছে নির্দেশনা সংবলিত একটি চিঠি। এই নির্দেশনায় বলা হচ্ছেÑ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো দ্রুত গঠনের জন্য। প্রতিটি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে সকলের সাথে আলোচনা করে পরিশ্রমী, ত্যাগী, নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যদের প্রাধান্য দেয়ার। অন্য কমিটিগুলো করার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথাও বলা হচ্ছে চিঠিতে। বিএনপির জেলাগুলোতে কাউন্সিলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে প্রতিটি জেলার নেতৃত্বেই যেন নতুন নতুন নেতৃত্ব বের হয়ে আসে। এ জন্য কাউন্সিলে নির্ধারিত পদসংখ্যার বিপরীতে ৬০ শতাংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পুরনোরা (আগে বিএনপির কমিটিতে ছিলেন এমন নেতা)। আর বাকি ৪০ শতাংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য সংগঠন থেকে যারা বিএনপির নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী তারা। কেন্দ্রের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সেটি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের। তারা কমিটি গঠনের সময় সংশ্লিষ্ট জেলায় উপস্থিত থাকবেন। সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য আবার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে পৃথক কয়েকটি কমিটি। এসব কমিটি সরেজমিন গিয়ে জেলার কার্যক্রম দেখে এসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কোনো জেলা নির্দেশনা অনুসারে কাজ না করলে প্রতিবেদন অনুসারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব জেলার নেতৃবৃন্দকে শোকজ করবেন এবং প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করবেন।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, জেলাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরেফিরে পুরনোরাই নেতৃত্বে আসছেন। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনগুলো শেষ করে অনেকেই পদ না পাওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। এজন্য এবার এসব অঙ্গসংগঠন থেকে নতুন নতুন নেতৃত্ব বের করে আনতেই ৪০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যারা বিগত দিনে রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন তারাই নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জেলার আহ্বায়ক কমিটিগুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সব কমিটি গঠন করে নিজেদের কমিটির কাউন্সিল আয়োজন করার। এছাড়া নতুন নতুন নেতা যেন বের হয়ে আসে এ জন্য কাউন্সিলে কমিটির পদসংখ্যার ৪০ শতাংশে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।