গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, জুয়া ও মাদক হাজার হাজার পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমাজকে করে দিচ্ছে বিকালঙ্গ। তিনি বলেন, প্রশাসন যদি প্রথম থেকেই এসব বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখাতো তাহলে এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতো না। প্রধানমন্ত্রীকে এগুলো নিমূর্লে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হত না। প্রধানমন্ত্রীর এ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত জাতিকে মহা বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর টিকাটুলিতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় ও মন্দিরে অর্থ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী ফিরোজ বলেন, যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার মদদ দিয়েছেন এবং টাকার ভাগ নিয়েছেন তারাও সমান অপরাধী। এ অপরাধ তো একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো চলে আসছিল। এখনও বিভিন্ন বাজার ও মার্কেটে অবাধ চাঁদাবাজি চলছে। জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে হাজার কোটি টাকার লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। মন্দির ও মসজিদ পাশাপাশি অবস্থানে। যে যার মত ধর্ম পালন করছে। ঈদ ও পূজায় সবাই মিলে মিশে উৎসব করে। এটা পৃথিবীর একটি অন্যান্য দৃষ্টান্ত।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন, দুর্নীতি কোনো দলীয় সমস্যা নয়, এটা জাতীয় সমস্যা। তা নির্মূলে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুয়া ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান দেশবাসী স্বাগত জানিয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টি সরকারকে সহযোগিতা করবে।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার আমলীগোলায় লালবাগ থানা আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান লাভলু, আইয়ুব আলী, আবুল হোসেন, আরিফ হোসেন ছোটন, জাপা নেতা হাজী ফারুক, দোলোয়ার সেন্টু, খুরশিদ নোমানী, নাসের সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।