পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ-পদবি থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপিকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার জাতীয় পার্টি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি আজ দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ-পদবি থেকে মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের কীভাবে রাজনীতি করেন তা দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে জি এম কাদের কীভাবে রংপুরে রাজনীতি করেন, আমিও তা দেখে নেব। আমি সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ। আমাকে রওশন এরশাদ হুইপ বানিয়েছেন, তিনি (জি এম কাদের) চাইলেও আমার এই পদ খাইতে পারবেন না। আমি দেখে নেব, উনি কীভাবে রাজনীতি করেন। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে অব্যাহতির খবর পাওয়ার পর সাংবাদিকদের আলাপকালে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাঙ্গা।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও জি এম কাদেরকে অনেকবার বহিষ্কার করেছিলেন। এখন তিনি কথায় কথায় অন্যদের বহিষ্কার করেন। এবার এটার শেষ দেখে নেব। আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে জি এম কাদের কীভাবে রংপুরে রাজনীতি করেন, আমিও তা দেখে নেব। আমাকে রওশন এরশাদ হুইপ বানিয়েছেন, তিনি (জি এম কাদের) চাইলেও আমার এই পদ খাইতে পারবেন না। আমি দেখে নেব, উনি কীভাবে রাজনীতি করেন।
জাপার সাবেক এই মহাসচিব বলেন, এরশাদ সাহেবের মৃত্যুর পর দলের নবম কাউন্সিলে জি এম কাদের চেয়ারম্যান আর আমি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি যেহেতু দলে ঠিকমতো সময় দিতে পারতাম না, তাই এটা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তিনি এটা কি করলেন? অন্যের কথা শুনে তিনি এটা করেছেন তো, তারা উনাকে রক্ষা করতে পারবে কি না দেখা যাবে।’
কেন আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে স্পিকারকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠি দেয়া নিয়ে অনেক সংসদ সদস্যের দ্বিমত ছিল। অনেক সংসদ সদস্যকে মিথ্যা বলে জি এম কাদের সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। তাদের সেই চিঠি আমাকে দেয়া হয়েছিল স্পিকারকে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি বলেছিলাম, এই চিঠি আপনি দেন। কিন্তু তিনি বললেনÑ এটা চিফ হুইপের দেয়ার নিময়। তারপর আমি স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলেছিলাম। তার কারণে হয়তো আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখন তিনি এটা কি করলেন? অন্যের কথা শুনে তিনি এটা করেছেন তো, তারা উনাকে রক্ষা করতে পারবে কি না দেখা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘জি এম কাদের অনেক আবোল-তাবোল কথা বলেন। অনেক মিথ্যা কথা বলেন। তিনি পার্টিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আমি জি এম কাদেরকে বলেছিলামÑ জাতীয় পার্টি এমনিতে ৯ বার ভেঙেছে। আর পার্টিকে ভাঙবেন না। সবাই মিলেমিশে রাজনীতি করেন। প্রয়োজন হলে আমি জাতীয় পার্টি থেকে সরে যাব। আগামী সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেব না। তারপরও আপনারা সবাই মিলে পার্টিকে রক্ষা করেন। কিন্তু তিনি এখন আমাকে অব্যাহতি দিলেন, এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করলাম। আমি দেখে নেব, তিনি কীভাবে রাজনীতি করেন, কীভাবে রংপুরে যান। আমাকে বাদ দিয়ে কীভাবে সেখানে রাজনীতি করেন। রওশন এরশাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, না এখনো উনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। দেখি কি করা যায়। দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, রওশন এরশাদক সরিয়ে জি এম কাদের যদি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হয়, তাহলে আমাকে উপনেতা করতে হবে। না হলে আমি চিঠিতে সই করব না। রাঙ্গা বলেন, ‘দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, রওশনকে সরিয়ে জি এম কাদের যদি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হয়, তাহলে আমাকে উপনেতা করতে হবে, না হলে আমি চিঠিতে সই করব না। শুধু তাই নয়, অনেক সংসদ সদস্য আপাকে (রওশন এরশাদ) বলেছেন- তারা আগে জানলে সেই বৈঠকেই আসতেন না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।