মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি বলছে, গত ৭২ ঘণ্টায় তারা সৌদি আরবের অন্তত ৫০০ সৈন্যকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরো দুই হাজারের বেশি সৌদি সৈন্যকে আটক এবং সেনাবাহিনীর সামরিক যানবাহন জব্দ করেছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নজিরবিহীন এ দাবি করেছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের আটক সৈন্য ও সামরিক যানবাহনের ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। তবে সৌদি আরবের এই সৈন্যদের শরীরে ইউনিফর্ম ছিল না। হুথিদের এই দাবির ব্যাপারে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য জানায়নি।
সম্মেলনে সৌদি আরবের সৈন্যদের বিশাল একটি বহরকে আটক ও হামলায় তাদের যানবাহন উল্টে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করে হুথিরা। গত তিনদিন ধরে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের নাজরান প্রদেশের অভিযান চালিয়ে সৌদি আরবের এই সেনাদের আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে হুথি। ইয়েমেন সীমান্তের এ প্রদেশে সামনে আরো বড় পরিসরে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
হুথিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুল সালাম সৌদি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের নিষ্ঠুর আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আমাদের বিজয়। শত্রুরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে...মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিশাল ভূখন্ড সৌদি সেনামুক্ত করা হবে।
নাজরানে অভিযানের সময় সৌদি আরবের কয়েকশ সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই হুথি নেতা। তিনি বলেছেন, রিয়াদের হাতে এখন বিকল্প আছে সীমিত। তবে কীভাবে ইয়েমেন থেকে তারা চলে যেতে পারে এখন সেটি বিবেচনা করতে পারে। মোহাম্মদ আব্দুল সালাম বলেছেন, সৌদি আরব যদি ইয়েমেন ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে হুথিরা হামলা বন্ধ করবে।
ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীদের দাবি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটি সৌদি আরবের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। কারণ দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল হুথিরা। এই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায়। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র তেল স্থাপনায় হামলার জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করে।
শনিবার হুথিরা সৌদি সেনাবাহিনীর অন্তত তিনটি ব্রিগেডকে আটকের দাবি করে। তবে ব্যাপক এই হতাহতের ব্যাপারে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
২০১৫ সালের মার্চের দিকে হুথিদের হামলা ও আন্দোলনের মুখে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ইয়েমেনের এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে মার্চেই সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট দেশটিতে হামলা চালায়। সৌদি জোটের এই হামলায় লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। এছাড়া প্রাণ গেছে হাজার হাজার ইয়েমেনির।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।