যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার যুক্তরাজ্যের ভোক্তাদেরকে রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সতকর্তা জারি করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে এ ধরনের পণ্য ব্যবহার করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার সংগঠনের (এলজিএ) সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, রং ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা উপাদান ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সম্প্রতি দেশটিতে বাণিজ্য মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের হাতে এ ধরনের কিছু পণ্য জব্দ হওয়ার পর এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, অনেক পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান হাইড্রোকুইনোন থাকে। এছাড়াও অনেক ক্রিমে মার্কারি বা পারদ থাকার কথাও জানা গেছে। এলজিএ বলছে, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী, অনলাইন এবং বাজারের কিছু দোকানীসহ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পণ্য বিক্রি করছে।
বিক্রেতারা সবসময় পণ্যের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করে না, যার কারণে ভোক্তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। এলজিএ জানিয়েছে, হাইড্রোকুইনোন এমন এক রাসায়নিক যা জৈবিক রং পরিবর্তনের এক ধরনের উপাদান বা পেইন্ট স্ট্রিপার। এই রাসায়নিক মানুষের ত্বকের একটি স্তরকে অপসারণ করে দিতে পারে। এর ফলে ত্বকের ক্যান্সার, যকৃত এবং কিডনির মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়। পারদ থেকেও একই ধরনের প্রাণঘাতী স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা থাকে।
চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া হাইড্রোকুইনোন, স্টেরিয়ড বা পারদ রয়েছে এমন ক্রিম তাদের মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এলজিএর নিরাপদ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন বø্যাকবার্ন বলেন, ‘নিষিদ্ধ পণ্যসমৃদ্ধ ত্বকের ক্রিম খুবই বিপজ্জনক এবং এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, সারা জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পরে। তাই এগুলোকে যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।’
তিনি জানান, ‘ভোক্তাদের সব সময় তাদের ক্রিমে কি উপাদান রয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। খুব কম দাম হলে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত কারণ সেগুলো নকল এবং ক্ষতিকর হতে পারে। সেইসঙ্গে হাইড্রোকুইনোন রয়েছে এমন পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’
চেয়ারম্যান সিমন বø্যাকবার্ন বলেন, ‘পণ্যে যদি কোন ধরনের উপাদানের উল্লেখ না থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করা উচিত নয়। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী এসব নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করে তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে কাউন্সিল।’ এসব ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তথ্য দিতে জনগণকে আহŸান জানানো হয়েছে যাতে করে টাউন হল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। যাতে করে মানুষ এ ধরনের পণ্য কেনা থেকে বিরত রাখা যায় যা তাদের চেহারায় স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করে।
ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র লিসা বিকারস্টাফে বলেন, বছরের পর বছর ধরে অবৈধ রং ফর্সাকারী ক্রিমের ইস্যুটি চলেই আসছে। তিনি বলেন, ‘কাউন্টার কিংবা অনলাইনে অবৈধ উপায়ে এসব ক্রিম বিক্রির কারণেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া বেশ কঠিন।’
তার মতে, ‘এসব কসমেটিকসের উপাদান মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশন এগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে থাকে। ত্বকের রং নিয়ে অভিযোগ থাকলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। তারাই আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।