Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সখিপুর থানার এসআই ফয়সাল রিকসা চালক সেজে খুনের আসামী ধরলো

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:১৬ পিএম

অপরাধীকে ধরতে রীতিমতো নানান কৌশল অবলম্বন করতে শোনা যায় পুলিশ সদস্যদের।এবার রিকসা চালক সেজে অল্প সময়ের মধ্যে এক হত্যা মামলার আসামিকে ধরে প্রশংসিত হয়েছেন টাঙ্গাইলের সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহম্মেদ। পরনে লুঙ্গি-শার্ট, পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল, কাঁধে গামছা,দেখে আপাদমস্তক রিকসা চালক মনে হলেও মূলত এসআই ফয়সাল আহম্মেদ খুনের মামলার পলাতক আসামি ধরার জন্য এ কৌশল অবলম্বন করেন। সখিপুর থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাটেশ্বরী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবদুর রহিমের স্ত্রী আফরোজা আক্তার (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মারা যায়। আফরোজার দেবর আবদুর রশিদের বিদ্যুৎ লাইন থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে এ দাবি করে নিহত আফরোজার চাচাতো দেবর জাবেদ আলী লাশ সামনে রেখেই দুই চাচাতো ভাই আবদুর রশিদ ও জাবেদ আলী তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের ঝগড়া মেটাতে জাবেদ আলীর বাবা জয়নাল আবেদীন এগিয়ে আসলে উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে আবদুর রশিদ ঘরে গিয়ে ছুরি এনে জাবেদ আলীর পেটে ঢুকিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত জাবেদ আলীর বাবা জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর মামলাটির তদন্ত ভার দেওয়া হয় সখিপুর থানার এসআই ফয়সাল আহম্মেদকে। তদন্তের শুরুতেই এসআই ফয়সাল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন,খুনি রশিদ হত্যাকান্ডের পর থেকে গোপনে সাভারের সি আর পি এলাকায় অবস্থান করছে। সে মোতাবেক পজিশনও নিয়েছিলেন।

ইতোপূর্বে এসআই ফয়সাল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় স্থানীয় লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাদের জানিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে বলেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসআই ফয়সাল রিকসা চালকের ছদ্মবেশে ওই এলাকায় অবস্থান করেন। একপর্যায়ে এসআই ফয়সাল দেখেন, দূর থেকে একটি লোক একটি দোকানের পাশে অবস্থান নিচ্ছে। এসময় হত্যাকারী রশিদের পাশেই এসআই ফয়সাল ও সঙ্গীয় ফোর্সরা অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে কোনো কালক্ষেপণ না করে রশিদকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন এসআই ফয়সাল।হঠাৎ জনসম্মুখে এমন জাপটে ধরার কারণ উপস্থিত লোকজন জানতে চাইলে নিজের পরিচয় দিয়ে এসআই ফয়সাল বলেন, যাকে ধরা হয়েছে সে হত্যা মামলার আসামি। পুলিশের এমন কাজের জন্য স্থানীয়দের প্রসংশায় প্রশংসিত হন সখিপুর থানা পুলিশের এই চৌকস অফিসার। এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আমীর হোসেন জানান, আসামি রশিদকে গ্রেফতারে এসআই ফয়সালের ভূমিকা প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, এ হত্যাকান্ডের মূল আসামী গ্রেফতার হলেও তিনমাস অতিবাহিত হবার পরও উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে সাইফুল ইসলাম ইলু হত্যাকান্ডের মূল আসামী এখনো ধরাছোয়ার বাইরেই রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আসামী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ