২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে এই ধরনের ভাঁজ দেখা যায়। আর এই ভাঁজকে বলে বলিরেখা। অনেকেই নিজেকে বুড়িয়ে যেতে দেননা। তাই তারা বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করে ত¦কের লাবণ্যতাকে ধরে রাখতে চান। ত¦ক নিয়ে যারা কাজ করেন তারা অনেকেই বলিরেখা বা ভাজ নিয়ে উদাসীন ছিলেন কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে কাজ করছেন।
বলিরেখার কারণ : সাধারণত বয়স হলে ত¦কের ইলাষ্টিক টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। ত্বক কুচকে ও ¤øান হয়ে যায়। যারা বেশি রোদে ঘোরাঘুরি করেন তাদের সোলার ইলাস্টোসিস কারণ ত্ব¦কের ইলাস্টিসিটি কমিয়ে দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশের ত¦ক বিভিন্ন রকমের। তার মধ্যে মুখের ত¦ক ভিষণ সংবেদনশীল। আর মুখের ত্বকই একমাত্র সরাসরি তার তলাকার ঐচ্ছিক মাংস পেশির সঙ্গে যুক্ত। হাসলে কথা বললে মুখ বাকালে, গান গাইলে, আবৃতি করলে, অভিনয় করলে, ত্বকে নড়াচড়ার হার এর জন্য বলি রেখা পড়বে তা নয়। তবে যারা কথায় কথায় ভেংচি কাটেন, মুখ বাকান, রাগান্বিত হয়ে পড়েন, বেশি বেশি চিন্তা করন, হতাশায় থাকেন তাদের মাঝে বয়সের ছাপ লক্ষনীয়।
সাধারনত তিরিশ বছর বয়সের পর থেকে ত্বকে বলি রেখার সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে বলি রেখা সংখ্যায় না বেড়ে গভীরতায় বাড়ে। আর সহজেই চোখে পড়ে এই রেখা গুলো । যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে তাদের চেয়ে যাদের ত্বক আদ্র থাকে তাদের ত্বকে বলি রেখা কম পড়ে। আদ্র ত্বকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো ত্বক আয়তনে কিছুটা বাড়ে বলে ত্বক ফুলে থাকে ও নমনীয় থাকে। আদ্রত্বকে নড়াচড়া, ঘসাঘসি লাগলে সহজে কুচকে যায়।
বলি রেখার ধরণ: কতগুলো ত্বকের উপরের অংশে আলাদা-আলাদা বা লাইনের আকারে সরল রেখা বা বাকা আকারে দেখা যায়। এই গুলো কিছুটা হালকা গভীর দেখা যায়। আবার কিছু কিছু ভাজ গভীর দেখা যায় । আবার কিছু দাগের গভীরতা ত্বকের একেবারে তলদেশ পর্যন্ত দেখা যায়। যেন একটি বিন্দু থেকে অনেক গুলো রেখা বের হয়ে গেছে বাইরের দিকে। দেখতে অনেকটা পাখির পায়ের মতো । আবার ত্বকে কোথাও তরঙ্গের আকারে উঁচু হয়ে যায়। ত্বকের এই নানা ধরনকে বলি রেখার ধরণ বলে।
চিকিৎসা ও পরামর্শ : বর্তমানে বলি রেখা নিরাময়ের বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। এই সব প্রযুক্তির মাধ্যমে বলি রেখা সম্পর্কে সঠিক ধারনা নির্ণয় করা হয়। বলি রেখার চিকিৎসা শেষে নির্ণয় পদ্ধতিতে মেপে দেখা হয় বলিরেখা সত্যি সত্যি কতখানি বিলোপ হলো। বলিরেখা সংখ্যায় কম ও অগভীর হলে কেমিকেল পিলিং এর মাধ্যমে দূর করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডার্মাব্্েরশন ও করা হয়। একটু বেশি গভীর হলে এসবের কোনটায় লাভ হয় না, সেসব ক্ষেত্রে ফেস লিফটিং অপারেশনের সাহায্যে সুফল পাওয়া যায়। পরিশেষে বলা যায় বলি রেখা সারানোর চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম। রোদের হাত থেকে ত্বককে বাচানো, অযথা মুখ ভঙ্গি করা থেকে বিরত থাকা, ত্বককে অযথা চেপে না রাখা, ত্বককে শুকনো না হতে দেওয়া , এসব উপায় অবলম্বন করতে পারলে বলি রেখা কিছুটা কম হবে।
জুনিয়র কনসালটেন্ট (ডার্মাটোলজী)
সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া ঢাকা
অরোরা স্কিন এন্ড এয়েসথেটিকস
পান্থপথ, ঢাকা
০১৭২০১২১৯৮২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।