পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জন্য বরাদ্দকৃত মেধাবৃত্তির অর্থ ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কিন্তু প্রয়োজন ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শিক্ষা বোর্ডের ৪ কোটি টাকা অর্থ সঙ্কটের কারণে দুর্ভোগ বাড়ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে এ অর্থ পাওয়া গেলেও এবছর তিন মাস পার হয়ে গেলেও অর্থ প্রদান করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্নাতকে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকা করে শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রতিবছর একটি বৃত্তি প্রদান করা হয়। পূর্বে মেধাবৃত্তির অর্থ জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় হতে ছাড় করা হলেও এবছর নতুন করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধাবৃত্তির অর্থ উত্তোলনের নিয়ম করা হয়।
নতুন নিয়মের জটিলতার পাশাপাশি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অর্থ সঙ্কটের কারণেই মেধাবৃত্তি প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে। পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও শিক্ষা বোর্ডের অর্থ সঙ্কটের কারণে তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বণ্টন করা যায়নি মেধাবৃত্তির অর্থ। ফলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অর্থ না দিতে পেরে বিপাকে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মোশারফ হোসেন জানান, প্রতি বছর জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে অর্থ পেয়ে আসছি। এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড আমাদের বৃত্তির অর্থ দিবে বলে জানানো হয়। আমরা প্রতিনিয়তই শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করছি তারা আমাদের অতিদ্রæত সময়ের মধ্যেই বৃত্তির অর্থ দিবে জানিয়েছে। টাকা পেলেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ দিয়ে দিব।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের চাপে আমরাও অস্বস্তিতে আছি। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৩২৭ জন শিক্ষার্থী সর্বমোট আঠারো লাখ নয় হাজার ছয়শত টাকা পাবে।
বৃত্তি প্রাপ্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিবছর জুন মাসে আমরা বৃত্তির টাকা পেয়ে আসছি কিন্তু এবার বৃত্তির অর্থ উত্তোলন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নতুন করে সময় দিচ্ছে।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ অর্থ সঙ্কটের বিষয় স্বীকার করে বলেন, এবার বৃত্তি প্রদানের নতুন নিয়ম করা হয়েছে যা বুঝে উঠতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হয়েছে। এর সাথে যথাসময়ে অর্থ আসতে দেরি ও প্রয়োজনের তুলনায় অর্থ কম আসায় অর্থ বিতরণ করতে পারছি না। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত মেধাবৃত্তির অর্থ হচ্ছে ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বোর্ডে চার কোটি টাকা সঙ্কটে থাকায় জন্য বৃত্তির টাকা সময় মতো দিতে পারিনি। জটিলতা নিরসনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, মাউশির চিঠি নিকট দিয়েছি। অর্থ পেলেই আমরা বৃত্তির টাকা দ্রæততার সাথে সকল প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।