পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফলভাবে শেষ হওয়ার মধ্যে দিয়ে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। দীর্ঘদিন পর গত সোমবার তারা রাজপথে নেমেছিল বীরদর্পে। নানা বাধাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সংক্ষিপ্ত প্রস্তুতিতে বিশাল সমাবেশ উপহার দেয় সিলেট বিএনপি। এর মধ্যে দিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা জানান দিয়েছেন নেতারা ডাকলে তারা বুক পেতে রাজপথে নামবেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে। শুধু দরকার নেতৃবৃন্দের সাহস দেখানোর, তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত।
সোমবার সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে জনগণ বিএনপির পক্ষে। জনগণের ভাষা বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল উপলব্ধি করে সরকারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে শুরু করলেই পতন ঘটবে এই ক্যাসিনো সরকারের। এভাবে সমাবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু।
একইভাবে ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক নেতা ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মিছিল সামবেশ হলো রাজনীতিক অধিকার। সেই অধিকার কলঙ্কিত হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে। সরকার যন্ত্র ও অতি উৎসাহী পুলিশের কিছু সদস্য নগ্নভাবে রেজিস্ট্রারি মাঠে নির্মিত মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়, মাইক ছিনিয়ে নেয়, প্রচার প্রচারনা বাধাগ্রস্থ করে, ওয়ার্ড, ইউনিয়নসহ উপজেলা সর্বত্র নেতাকর্মীদের আটক গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল। সমাবেশ পন্ড করতে দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের মানসিক চাপে রাখা হয়।
সমাবেশের দিন সকালে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। সিটি পয়েন্ট সমাবশেস্থল হিসেবে আবেদন পত্রে চাহিদা ছিল বিএনপির। কিন্তু তা না দিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে অনুমতি দেন তারা। কিন্তু কোন বাধায় সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। দলের নেতাকর্মী ও জনগণের স্বর্তস্ফূত উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রারি মাঠ নতুন এক ইতিহাস গড়ে জনসমুদ্রের পদস্পর্শে। তিনি বলেন, জনগণের ভাষা বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতারা বুঝে নিতে পারলে এই অনির্বাচিত সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। সেই সাথে নিশ্চিত মাদার অব ডেমোক্রেসি খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
এদিকে, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রারি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করায় সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ঐতিহাসিক এ সমাবেশকে সফল করায় দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তারা। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম সিদ্দিকী বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা, বিভ্রান্তি উপেক্ষা করে বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এছাড়া সমাবেশ সফলে সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সমাবেশ সফল করায় সিলেটবাসীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামিম বলেন, সিলেট বিএনপির অদম্য নেতৃত্ব সকল প্রতিবন্ধকতাকে পায়ে ঠেলে সফল সমাবেশ উপহার দিয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থক ও জনগণের ভাষার প্রতি কমিটেড ছিল বলেই প্রশাসনের রক্তচক্ষু, মানসিক চাপ, গ্রেফতার, নির্যাতন, হয়রানিকে জয় করে বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করা সম্ভব হয়েছিল। জনগণ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সাহস করে দেখিয়ে দিয়েছে সুযোগ পেলেই গণ বিস্ফোরণ করে ইতিহাস করবে বিএনপির নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ক্যাসিনো, ড্রাগি কালচারের বিস্তৃতির দায়ে এই অনির্বাচিত সরকারের কোন অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। সে কারণে অনাস্থা দেখাতে মানুষের বাধ ভাঙ্গা স্রোত ছিল সমাবেশস্থলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।