Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রার্থীদের ঢিলেঢালা প্রচারণাঃ আগ্রহ নেই ভোটারদের

রংপুর-৩ (সদর) উপ নির্বাচন

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:৪৫ পিএম | আপডেট : ৮:০২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় তেমন সাড়া নেই ভোটারদের। আগ্রহও নেই তেমন একটা। প্রার্থীরাও খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ করছেন না। ঢিলেঢালা প্রচারণাতেই দিন পার করছেন। ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের ৯ দিন পেরিয়েছে। আর ৮দিন পরেই ভোট। তার পরও প্রার্থীদের তেমন একটা প্রচারণার দৃশ্য চোখে পড়ছে না। লাঙ্গল, ধানের শীষ আর মটরগাড়ি প্রতীকের তিন প্রার্থীর কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও অন্য তিনজনের পোস্টার নেই।

গতকাল রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনের ভোট উৎসব নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বেশ কয়েকজন অতি সাধারণ ভোটারের সাথে। তাদের প্রত্যেকের মতে, ‘প্রতিবারই তো নাঙ্গলোত ভোট দিচি। এবার একনা ভাবি চিন্তি না হয় ভোট দেমো। আমজাদ আলী নামের একজন ভোটার আক্ষেপের সুরে ইনকিলাবকে বলেন, ‘হামার গরীবের ভোট দিয়্যা কি হইবে? জিতলে তো কারো দেখা নাই। একনা সই নেবার জন্যে রংপুর থাকি ঢাকা যাওয়া নাগে। জরুলী কামের সময় এমপি মন্ত্রীরা হামার ধারের কাছোত আইসে না। ভোটের সময় আইলে ভিজা গামছা দিয়া মুখ সোত্তায়। ভোটের সমায় ওমার দেখা মেলে।’

আমজাদ আলীর মতো অসংখ্য ভোটার রয়েছেন। যারা ভোট নিয়ে ভাবেন না। কারণ তাদের কাছে ভোট উৎসবের রং বদলে গেছে। ফিকে হয়ে গেছে নির্বাচনের আমেজ। শুধু প্রার্থী আর নেতা-কর্মীদের মধ্যেই এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবনা। সাধারণ ভোটাররা নিরব থাকলেও সচেতন মহলে চলছে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে চলছে নানান রকম বিশ্লেষণ।

গ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা এম এ মতিন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাসা থেকে তার বাসার দূরত্ব মাত্র কয়েক’শ গজ। এতো কাছাকাছি থেকেও ভোটের উত্তাপ বা উৎসব কোনটাই অনুভব করতে পারছেন না তিনি।

পঞ্চান্ন বছর বয়সী এই ভোটার বলেন, ‘এবার তো এরশাদ নেই। তার ছেলে সাদ এরশাদ আর তার ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার নির্বাচন করছে। তারা দুইজন একই পরিবারের হলেও তাদের প্রতীক ভিন্ন। আসিফ শাহরিয়ার স্থানীয় ও সাবেক এমপি হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে সাদ এরশাদ এরশাদের ছেলে হলেও সবার কাছে অপরিচিত। তিনি থাকেন বিদেশে। তিনি এমপি হলে এখানকার জনগন তাকে কতটুকু কাছে পাবে?

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রংপুর মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু ইনকিলাবকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে আসছে। ভোটারদের প্রত্যাশা থাকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা তাদের এলাকাতে থাকুক। যেন প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ সংসদ সদস্যদের কাছে যেতে পারেন। কিন্তু এই প্রত্যাশার জায়গা এখনো কেউই পূরণ করতে পারেনি।’

উল্লেখ্য, রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে এই আসনটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর সদর ও সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এবারো এখানকার ১’শ ৭৫টি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট প্রদান করবে ভোটাররা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপ নির্বাচন

৩ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ