গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগের গেণ্ডারিয়া থানার সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া এবং এনামুল হকের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসা থেকে কয়েক কোটি টাকা, ৭৩০ ভরি স্বর্ণ ও ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর সূত্রাপুরে সোমবার মধ্যরাত থেকে র্যাব-৩ পরিচালিত অভিযানে এসব টাকা, স্বর্ণালংকার ও অস্ত্র উদ্বার করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শুরু হয় তোলপাড়।
এমডি শহিদুল ইসলাম তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মীর ঘর এখন ব্যাংকে পরিণত হযেছে। কি পরিমাণ দুর্নীতি করিতেছে, তা ভাবতে অবাক লাগে। এই হলো আওয়ামী লীগের উন্নয়নের জোয়ার।’
‘পাতি নেতাদের বাসায়ই যদি এত অস্ত্র, অবৈধ টাকা আর স্বর্ণালংঙ্কার পাওয়া যায়, তাহলে বড় নেতাদের বাসায় যে কি পরিমাণ আছে তা তো কল্পনারও বাইরে।’ - মোহাম্মদ আবদুস সাত্তারের মন্তব্য।
রেজাউল করিম রিপণের পরামর্শ, ‘এভাবে সব দুর্নীতিবাজদের অর্থ বের করা হোক এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। তাহলে সোনার বাংলাদেশ গড়তে বেশি সময় লাগবে না।’
‘আমাদের দেশে রাজনীতি মানেই হচ্ছে রমরমা ব্যবসা। ফকিন্নি থেকে দ্রুত রাঘব বোয়াল হওয়ার সহজ মাধ্যম। সমাজ ও রাষ্ট্রের এখন কোনো নেতাকে দেখলাম না সমাজ সংস্কার হিসেবে আর্বিভূত হতে, সবাই লুটেরা হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ধিক্কার জানাই নোংরা এই লুটেরা নীতির প্রতি।’ - নিন্দা জানিয়ে লিখেন আলামিন হোসাইন।
সাইফুল ইসলাম লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে, তৃণমূল থেকে শুরু করে গণভবনে পর্যন্ত যত লোক দলের সাথে জড়িত আছে, তারা পোস্ট পদবী পাবার আগে তাদের কি সম্পদ ছিলো, পোস্ট পদবী পাবার পরে কি সম্পদ হলো, সবার অগোচরে সেটা খতিয়ে দেখা। সরকারি চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রয়োগ করতে হবে। চাকুরিতে প্রবেশের আগে সম্পদ কি ছিলো বর্তমানে সম্পদ কি আছে? সবাই চতুর এখন সম্পদ নিজের বা বৌয়ের নামে রাখে না। ব্যাংক একাউন্ট খুলে তাদের দূরের আত্মীয়দের নামে! সুতরাং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যারাই ইনভেস্টিগেটর তাদের অনেক দূর খতিয়ে দেখতে হবে। সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারলে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’
‘টাকা টাকা টাকা শুধু টাকার খেলা শুরু হয়ে গেছে। ক্যাসিয়োনো অভিযানের পরে থেকে টাকার বন্যা বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভিতর। কিন্তু গরিবের দু’মুঠো খাবারের টাকা নেই।’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন আবদুল্লাহ বিন হাসান।
ইমাম হোসাইন লিখেন, ‘ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের হরিলুটে গোটা দেশ ফাঁপা ফোঁকলা হয়ে গেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।