Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেতারাই আমাদের ব্যর্থ করছেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য তীব্র ভাষায় বিশ্ব নেতাদের নিন্দা করেছেন সুইডেনের কিশোরী আবহাওয়া আন্দোলনকারী গ্রেটা থানবার্গ। সোমবার নিউ ইয়র্কে একদিনব্যাপী জাতিসংঘের আবহাওয়া সম্মেলনে প্রায় ৬০ জন বিশ্ব নেতার উপস্থিতিতে আবেগময় উত্তেজিত কণ্ঠে নিজের বক্তব্য পেশ করেন ১৬ বছর বয়সী এ কিশোরী। এভাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডাকা আবহাওয়া সম্মেলন শুরুর সুরটি তীব্রতায় বেঁধে দেন সাগরপাড়ি দিয়ে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে উপস্থিত হওয়া কিশোরিটি, জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স। থানবার্গ বলেন, “এই সবকিছুই ভুল। আমার এখানে থাকা উচিত নয়। মহাসাগরের অপরপারে স্কুলে ফিরে যাওয়া উচিত আমার, অথচ আমাদের ছোটদের কাছে আশা নিতে এসেছেন আপনারা সবাই। কী সাহস আপনাদের? “আপনারা আপনাদের ফাঁকা বুলি দিয়ে আমার স্বপ্ন ও আমার শিশুকাল ছিনিয়ে নিয়েছেন,” বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন তিনি। জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের ওপর নজর রাখবো।” নিজের বক্তব্যে মহাসচিব গুতেরেস বলেন, বিশ্ব ‘গভীর আবহাওয়ার গর্তে’ আছে এবং জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। “সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও অনেক দেরি হয়ে যায়নি,” বলেছেন তিনি। যে দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সম্মেলনে যোগ দিয়েছে শুধু তাদেরই কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আগেই তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি। অপরদিকে, আবহাওয়া সুরক্ষা তহবিলে নিজ দেশের বরাদ্দ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে দিনব্যাপী আবহাওয়া বিষয়ক সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আহŸানে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সম্মেলন। ইউএন ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট নামে এই সম্মেলনে সোমবার যোগ দেয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ব্যবসায়ী নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সম্মেলনের শুরুতে প্রথা ভেঙে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কেউ পোডিয়ামে (বক্তব্য রাখার মঞ্চ) আসবেন না। শিল্প বিপ্লব পরবর্তী যুগে উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রাকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। উষ্ণায়নের কারণে গলছে হিমবাহের বরফ, উত্তপ্ত হচ্ছে সমুদ্র, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক ঋতুচক্র। শিল্পোন্নত দুনিয়ার কার্বন মচ্ছবের কারণে প্রত্যক্ষ ক্ষতির মুখে পড়ছে অপেক্ষাকৃতি দরিদ্র দেশগুলো। জাতিসংঘের আবহাওয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘শিল্পোন্নত দেশগুলো এই সংকট (বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি) তৈরি করেছে। আর আমরা যা জানতে পারছি তাতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বন্ধে আমাদের প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ জ্ঞান এবং অর্থ ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘জার্মানি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের কর্তব্য প্রত্যক্ষ করছে’। জার্মান চ্যান্সেলর বলেন আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বৈশ্বিক আবহাওয়া সুরক্ষা তহবিলে আমাদের অর্থায়ন ২০০ কোটি ইউরো থেকে ৪০০ কোটি ইউরোতে বাড়াবো। বিশেষ করে আমরা দেড়শো কোটি ইউরো টার্গেট করবো আর তা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে পরিশোধে করবো। বিবিসি, রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ