পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরানের ওপর আরো বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে ইরানের ওপর ‘উল্লেখযোগ্য’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার অফিসিয়াল টুইটার পেজে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিনকে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছি।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে কথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতি গ্রহণ করেছেন। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে গেলেও ইউরোপীয় দেশগুলো এ সংক্রান্ত ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কার্যকারিতা দেখার জন্য এক বছর অপেক্ষা করে ইরান। কিন্তু ইউরোপীয়রা এক বছরেও কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারায় ইরান আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে গত মে মাসে পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে। এরপর আরো দুই বার ইউরোপকে ৬০ দিন করে সময় দিয়ে ইরান আরো বেশ কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছে। এ পর্যন্ত ইরান এরকম তিন দফা পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থ দফা পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “অনেক বিকল্প আছে। চ‚ড়ান্ত উপায়টি তো আছেই, এছাড়াও অনেক বিকল্প আছে। আমরা দেখছি। “আমি বলছি চ‚ড়ান্ত উপায় বলতে যুদ্ধে যাওয়া বোঝাচ্ছে।” এর আগে সউদী আরব বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ প্রদর্শন করে সেগুলো তাদের তেল স্থাপনায় চালানো হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে জানিয়ে হামলাটি ‘নিঃসন্দেহে তেহরানের সৌজন্যে’ হয়েছে বলে দাবি করেছে। সউদী আরব সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হামলাটিকে ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কণ্ঠে সতর্কতার আভাষ ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ‘যথেষ্ট বৃদ্ধি করার’ জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনির্দিষ্ট, শাস্তিম‚লক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপগুলো ঘোষিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সউদীর দুটি তেল শিল্পস্থাপনায় চালানো ওই হামলার পেছনে ইরান আছে বলে বার বার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সউদী আরব বলেছে ‘বৈশ্বিক মনোভাব পরীক্ষার জনই’ হামলাটি চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবির পথ ধরে ও সউদীর মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প ওই টুইটটি করেন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।