গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে একটি অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে সুন্দরী মডেল ও বিদেশি মদসহ আরও অনেক কিছু আটকের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ফেইসবুকে দোষীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টেনিজেনরা। পাশাপাশি প্রশাসনের প্রশংসা করে অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘ইয়াংমেন ক্লাব’-এ অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ক্লাবটি থেকে বিপুল অংকের নগদ অর্থ, বিদেশি মদ ও ক্যাসিনো বোর্ড জব্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে র্যাবের আরেকটি দল রাজধানীর গুলশানে ওই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে। খালেদ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ফেইসবুকে মোহাম্মাদ পারভেজ লিখেছেন, ‘‘বর্তমানে লটারির নামে চলচে নতুন জুয়া। মাস ব্যাপি মাইকিং করে লটারির নামে চালানো হচ্ছে রাত ব্যাপী জুয়ার আসর আর সারা রাত ধরে সার্কাস নাম দিয়ে চালানো হচ্ছে অশ্লীল সব কর্মকাণ্ড। সরকারের এই দিকটাই দৃষ্টি দেয়া উচিত।’’
‘‘সাবাস,,এইবার মনে হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে আসবে’’ মন্তব্য শাহজাহান খানে।
কামরুজ্জামান মামুন লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ। তবে অভিযান যেন লোকদেখানো না হয়। অভিযান চলমান রেখে অভিযুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিৎ করা হোক। পুলিশ র্যাব ধরবে আর আদালত ছেড়ে দেবে তা যেন না হয়।’’
জান্নাতুল নাঈম মনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘‘আগাছা বেশি বাড়তে দিলে মূল ফসলেরই ক্ষতি হয়। তাই সময় থাকতে বড় বড় আগাছাগুলো উপড়ে ফেলে দেয়া উচিত।’’
‘‘এভাবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ শ্রমিক লীগ ,হকার লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে যারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে,এবং আওয়ামী লীগ কে কলংকিত করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’’ দাবি মোঃ শাহাব উদ্দিন সাবুর।
মিজানুর রহমান প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমি আরামবাগে থাকি। ইদানিং ক্লাবপাড়া অতিমাত্রায় সরগরম। খুব ভালো কাজ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযান অব্যাহত থাকুক।’’
আবির খান লিখেছেন, ‘‘যাদের ধরেছে কখন ছেড়ে দেই সেই নিউজ টা একটু কষ্ট করে দিয়েন, সেই ১০ বছর ধরে এইগুলি চলছে হঠাৎ আজকে নজর পরলো তাহলে!’’
‘‘দেশের সকল অবৈধ ক্যাশিনোগুলোতে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হোক’’ দাবি জানিয়েছেন আবু তালুকদার।
ইলিয়াস হিমেল লিখেছেন, ‘‘এটা ফাজলামি। ক্যাসিনোর অনুমোদন দিবেন, পতিতার লাইসেন্সও দিবেন।আবার মানুষকে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করবেন।এটা কোন ধরনের নীতিরে ভাই?’’
বনি খান লিখেছেন, ‘‘জনগণের ট্যাক্সের টাকা মেরে খেলে তখন কোন একশন নেওয়া হয় না কিন্ত ক্যাসিনোতে এসে পাবলিক নিজেদের টাকা দিয়ে জুয়া খেললে তখন অনেক আইনের প্রয়োগ দেখা যায়।’’
সোহেল লিখেছেন, ‘‘আমার মাথায় ঢুকছে না সেদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায় সরাসরি তাদের নাম ধরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন,তারপরও ফকিরাপুল ক্লাবে জুয়া খেলা হচ্ছিল! মাথায় কিছু নাই নাকি? আসলে পাপ বেশি হয়ে গেলে সঠিক সময়ে মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না! সম্ভবত ক্রসফায়ার হবে না তবে জেলে থাকুক দীর্ঘ সময়। তাদের মাত্রা এতো বেড়েছিল!''
এনামুল হক লিখেছেন, ‘‘পাড়ায়- মহল্লায়,গ্রাম-গন্জ,হাটে-বাজার,শহর -বন্দর এখন ক্যাসিনো টাইপ জুয়ার মহারণ চলছে। আর এসব জুয়ার আসরের মদদদাতা কারা দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীরই জানা তারপরও জনগণ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। কারন মাতবর সাহেবদের বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করলেই ভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে সোজা থানায় বসবাস করা ছাড়া কোনো উপায়ান্তর নেই। কারন মাদ্রাসা মসজিদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সকল কমিটির সভাপতি এখন ওনারাই। সুতরাং উনি সাহেব রা এরকম দু-একটা জুয়া(ক্যাসিনো) চালাতেই পারেন।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।