বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের(ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। একই সাথে তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন। ফলে গত ৭ দিন থেকে ইউনিয়নটির কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ২ নংপারুল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খাঁন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজ খেয়াল খুশিমত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ রয়েছে।
ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ভিজিএফ-ভিজিডি, এডিবি, বয়স্ক-বিধবা, মাতৃত্ব ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সুবিধাভোগিদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে থাকেন। এদিকে প্রতিবছর এলজিএসপি প্রকল্পের সমুদয় টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আতœসাত করেন। এতে ইউনিয়নটিতে উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে হতদরিদ্র পরিবারের বসতবাড়ি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কথিত সুবিধাভোগিদের নিকট অর্থের বিনিময়ে ঘর প্রদান করায় প্রকৃত হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় লাগানো গাছ বিক্রির কমিশনের ৮ লাখ টাকা এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ের নামে পকেটস্থ করেছেন।
ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা (ইউপি অংশ) তিন বছর যাবত প্রদান না করে তালবাহনা করে আসছেন। চেয়ারম্যানের এসকল কাজের প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্যদের লাঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার ১২ জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তব এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন।
পারুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের ব্যাপক দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে ইউপির ১২ সদস্যের একটি অনাস্থা প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। তদন্তের সময় অনিয়মের সকল প্রমাণপত্র উপস্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে পারুল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খাঁন বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন প্রধান অভিযোগ ও অনাস্থা প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ ও অনাস্থা প্রস্তাবটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।