Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীর যেতে পারেন ভারতের প্রধান বিচারপতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর ঘুরে ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছিল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। এবার কাশ্মীরে যেতে চান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গতকাল জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হয়। তার মধ্যে একটি মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করার পরিস্থিতি নেই। সেই মামলাতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে (হাইকোর্টে মামলা করার পরিস্থিতি রয়েছে কিনা) দেখে আসব।’ কাশ্মীর তথা ৩৭০ অনুচ্ছেদ ‘অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু’ বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবাব তলবও করেছেন প্রধান বিচারপতি।
শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা গ্রেফতার বা গৃহবন্দি। বাকি ভারতবর্ষের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। এমনকি, হাইকোর্টে মামলা করার পরিস্থিতি পর্যন্ত নেই। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর উপত্যকার এমন পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার মুক্তির আবেদন জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন ডিএমকে নেতা ভাইকো। অন্য একটি মামলায় দাবি করা হয়, ফারুক আবদুল্লাকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির করাতে হবে। আবার মোবাইল-ইন্টারনেট ও উপত্যকার সাধারণ মানুষের উপর নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা হয়েছে।

সোমবার সেই মামলাগুলির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এ এস বোবদে এবং এস এ নাজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চে। তার মধ্যে একটি মামলায় বর্ষীয়ান আইনজীবী হাফেজা আহমদী বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এমনই যে সেখানে হাইকোর্টে মামলা করার মতো পরিস্থিতিও নেই। তাই সেখানকার শিশুদের ঘরবন্দি রাখার অভিযোগ তুলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাইকোর্টে না গিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এর পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, দরকার হলে তিনি নিজে কাশ্মীরে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসবেন। অর্থাৎ হাইকোর্টে মামলা করার পরিস্থিতি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি বলেন, জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন। তবে অভিযোগ মিথ্যে হলে তার ফল ভোগ করতে হবে, এই ভাষায় আইনজীবী আহমদীকে সাবধান করে দেন প্রধান বিচারপতি।

কেন্দ্র অবশ্য মনে করছে, পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয়। বরং আগের চেয়ে আরও অনেক ভাল। যুক্তি সাজাতে গত তিন দশকের তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। ১৯৯০ সালের পর থেকে উপত্যকায় মোট ১৪ হাজার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫ হাজার সেনা ও ১৪ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিকেশ করা হয়েছে ২২ হাজার জঙ্গিকে। কেন্দ্রের যুক্তি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর সেখানে একটি গুলিও ছুড়তে হয়নি পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীকে। তবে প্রধান বিচারপতি হুঁশিয়ারি দেন, জাতীয় স্বার্থের কথা কেন্দ্র যেন ভুলে যা যায়। উপত্যকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সংবিধান মেনে করা হয়। সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ