Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৯ পিএম

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে তিউনিসিয়ার জনগণ। আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়ায় দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক জয়নাল আবদীন বেন আলীর বিদায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো দেশটিতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন বেজি সাইদ এসেবসি নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ বছরের শাসনামলে তিনি দেশটিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন। তার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তির পর চলতি বছর নভেম্বরে সে দেশে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে গত জলাই মাসে এসেবসির মৃত্যুতে তিন মাস আগেই দেশটিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন, যার মধ্যে দুজন নারীরও রয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম নবীন গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এই নির্বাচন তিউনিসিয়ার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচনে জিততে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হবে। তবে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে ফের ভোটগ্রহণ হবে।
সংবিধান অনুযায়ী তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন। পার্লামেন্ট একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। তিনি অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে আগামী অক্টোবরে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আরব বসন্তে স্বৈরশাসনের সিংহাসন কেঁপে উঠলেও শেষ পর্যন্ত তিউনিসিয়াতেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে টিভি বিতর্কও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা ও বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সমস্যা বিরাজ করছে। গত বছর এসব সমস্যা নিরসনে জগণ ফের মাঠে নেমেছিলেন।
দীর্ঘ ২৩ বছর বেন আলীর শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় গণআন্দোলন। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দেন। তার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে বেন আলী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই গণআন্দোলন পুরো আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে পরে ছড়িয়ে পড়ে। যা আরব বসন্ত হিসেবে খ্যাতি পায়।
তিন বছর পর দেশটি নতুন সংবিধান অনুমোদন দেয়। যেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে বিস্তারিত বিধিবিধান উল্লেখ করা হয়। দেশটিতে সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিউনিসিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ