Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি তথ্যেই কাশ্মীরে ৪ হাজার আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:২১ পিএম

আগস্টের শুরু থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেশটির সরকারি নথি থেকে জানা গেছে।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তারের সরকারি এই নথি অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বড় ধরনের অভিযান নিশ্চিত করে।
৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত সরকার। তার আগের দিন থেকে কঠোর সামরিক পরিস্থিতি জারি করে এই গণগ্রেপ্তার অভিযান চলে অঞ্চলটিতে।
৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনটি সূত্রে জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীরে আটক করা হয়েছে ৩৮০০ এরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে ২৬০০ জনকে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের ১৩ জেলা পুলিশের পাঠানো তথ্যে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগর থেকেই বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে গ্রেপ্তার হয় এক হাজারেরও অধিক মানুষ।
তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এমনকি জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কোন আইনে কাশ্মীরে এই গণগ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয় সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, জননিরাপত্তা আইনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই আইনের অধীনে কাউকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে দেশটি।
আটককৃতদের মধ্যে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ ২০০ জনেরও অধিক রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। যার মধ্যে আছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর একটি মোর্চার একশ’রও বেশি নেতা-কর্মী।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে অঞ্চলটিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এবারের অভিযানকে ‘নজিরবিহীন’ এবং ‘একেবারেই আলাদা’ বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার প্রধান আকার প্যাটেল বলেন, অঞ্চলটিতে সবধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ, নিরাপত্তা কড়াকড়ি ও দমন, রাজনৈতিক নেতাদের আটকে রাখার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে।



 

Show all comments
  • anisul ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৪ পিএম says : 0
    ৩৭০ ধারা রদ এবং এনআরসি নিয়ে কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দল যখন ক্রমাগত নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করে চলেছে, কেন্দ্রের এই দুই পদক্ষেপকেই ‘মানবিকতা বিরোধী’ অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, সে সময় সমর্থন উড়ে এল ভারতের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর কাছ থেকে। মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সার্বিক ঐক্যের মধ্যেই যেমন কাশ্মীরীদের উন্নতি লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই দেশের সুরক্ষায় এনআরসির মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করাটাও জরুরি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর বার্ষিক সভা ছিল। সেই সভাতেই এমন মত প্রকাশ করে জমিয়তে। সভা শেষে এই দুই বিষয়ে সংগঠনের মতামত সাংবাদিকদের জানান সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাদানি। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদের থাকবে, যেখানে ভারত থাকবে সেখানেই আমরা থাকব। কাশ্মীরের মানুষদের রক্ষাকবচ হিসাবে ব্যবহার করে পাকিস্তান এিই উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতের সঙ্গে সার্বিক ঐক্যের (৩৭০ ধারা রদের মধ্য দিয়ে) মধ্যেই কাশ্মীরিদের উন্নতি লুকিয়ে রয়েছে।’’ কাশ্মীরে কোনওরকম বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন তাঁরা সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:০০ পিএম says : 0
    As like hefajate Islam.they have to given their opinions as government wants. Some of their family members kidnapped by Indian army. So they have to given their statement favour of government. India can do everything for their business. Toilet man do everything for Hindus. History will prove he is absolutely wrong. Kashmir will independent country.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ