পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা বর্ষণ ও জোয়ারে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকা। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার টানা বর্ষণ হয়। একই সময়ে প্রবল জোয়ার হওয়ায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী।
বেশিরভাগ সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বর্ষণ ও জোয়ারে সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হয়। কাদা পানিতে প্লাবিত হয় আশপাশের আবাসিক এলাকা, ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমর পানিতে ডুবে যায়। এতে করে নগরীতে গণপরিবহনের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। যানবাহনের অপেক্ষায় লোকজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। এরমধ্যে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭২ মিলিমিটার। একই সময়ে আমবাগান আবহাওয়া অফিস ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। মৌসুমী বায়ু বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকেই নগরীতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। ১১টার পর টানা মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। টানা বর্ষণ চলে প্রায় ৩টা পর্যন্ত। একই সময়ে জোয়ার থাকায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি জমে যায়। বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ, হালিশহর, বড়পোল, মুহুরীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, মনসুরাবাদ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আছদগঞ্জ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। বৃষ্টির পানিতে নগরীর প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে যায়।
নগরীর বেশিরভাগ সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। বৃষ্টি ও জোয়ারে এসব সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় আশপাশের এলাকা কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। কয়েকটি সড়কে অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার বিকল হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও বিমানবন্দর সড়কের কাটগড় থেকে সিমেন্ট ক্রসিং এবং প্রোটিলা জেটি পর্যন্ত দুইপাশে কাদা পানির প্লাবন দেখা যায়। এসব সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন থেকে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। সড়কে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে যায়। ভারী যানবাহন চলাচলের সময় আশপাশের দোকানপাট ও বসতবাড়িতে কাদা পানি ঢুকে যায়।
জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে নগরীর অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ, রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজারসহ বাণিজ্যিক এলাকার দোকানপাট ও আড়ত, গুদামে পানি ঢুকে পড়ে। এতে করে মালামাল বিনষ্ট হয়। বর্ষণের কারণে সকাল থেকে নগরীতে গণপরিবহন সঙ্কট ছিল। এতে করে কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে হাঁটু পানি ভেঙে কর্মস্থলে ছুটেন। বেশি বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। গণপরিবহন সংকটকে পুঁজি করে রিকশা, অটোরিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।