নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এ টুর্নামেন্টে শিরোপা ছাড়া বিকল্প কিছুই ভাবছে না টাইগাররা। কিন্তু তিন দলের এ আসরে খেলবে আফগানিস্তানও। যাদের কাছে সদ্যই ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে নাস্তানুবাদ হয়েছে তারা। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবছেন না বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সাদা বলের ম্যাচ বলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এ প্রোটিয়া কোচ।
চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানদের কাছে বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ। সে স্মৃতি একেবারেই তরতাজা। সপ্তাহ না ঘুরতে তাদের বিপক্ষে আবার মাঠে নামতে হবে তাদের। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে বেশ আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন ডমিঙ্গো, ‘যখন সাদা বলের খেলা আসে, বাংলাদেশ তাদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারে। আমাদের দলে কিছু বিশ্বমানের পারফর্মার রয়েছে। দলের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার দিকে তাকান। ৫০ ওভারের ম্যাচের বিশ্বকাপে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় অভিজ্ঞ দল ছিল। এ দলে দক্ষতার কোন ঘাটতি নেই।’
সাদা বলের খেলা হলেও ম্যাচটি ওয়ানডে সংস্করণ নয়। এ সংস্করণে বেশ শক্তিশালী বাংলাদেশ। কিন্তু টুর্নামেন্টের সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। এ সংস্করণে তাদের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। ৮৫ ম্যাচ খেলে সাফল্যের হার মোটে ৩১.৩২ শতাংশ, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে কেবল জিম্বাবুয়ের রেকর্ডই এর চেয়ে বাজে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো আরও খারাপ। চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে দলটি। কিন্তু পুরনো কোন রেকর্ডকেই পাত্তা দিচ্ছেন না ডমিঙ্গো। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে তাদের হারানো সহজ নয় বলে জানালেন কোচ, ‘আমার মনে হয় আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের হারানো খুব কঠিন হয়ে যাবে।’
তবে আসরের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। র্যাংকিং ও শক্তির বিচারে কিছুটা দুর্বল দলটি। কিন্তু তাদের বিপক্ষেও শতভাগ জিতবেন এ নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ। তবে সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, ‘আমরা সব ম্যাচই জয়ের জন্য খেলব। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নির্দিষ্ট দিনে কোন দল যে কোন দলকে হারাতে পারে। আমি কালকের ম্যাচের কোন নিশ্চয়তা দিতে পারব না। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে এটা বলতে পারি, আমরা আমাদের সেরা দিয়ে লড়াই করব।’
আগামী বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়ায়। যথারীতি এবারও বাংলাদেশকে খেলতে হবে বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে। গত দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই প্রাথমিক পর্ব উতরে বাংলাদেশ ‘সুপার টেন’ পর্বে খেলেছে। কিন্তু সে পর্বে জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। বাংলাদেশের সার্বিক টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও ভীষণ বিবর্ণ। বাংলাদেশের নতুন কোচ এই জায়গাতেই দলকে এগিয়ে নিতে চান উন্নতির পথে। বিশ্বকাপের জন্য দলকে গড়ে তোলার শুরু এই আসর থেকেই, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা ২০টির মতো টি-টোয়েন্টি পাব। মনে হতে পারে অনেক ম্যাচ। কিন্তু আসলে খুব বেশি নয়। বিশেষ করে কিছু ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা তো আছেই। তাই হয়তো ১৫-১৬টি ম্যাচ খেলতে পারব বিশ্বকাপের আগে। এই সিরিজ থেকেই তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। কিছু ক্রিকেটারকে দেখতে হবে, বিশ্বকাপের জন্য যাদের প্রস্তুত করে তোলা যায়। চাপের মধ্যে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা যতটা সম্ভব, তাদের দিতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।