২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি সেবা দিচ্ছে ইমপাল্স হাসপাতাল। বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে প্রসবের ৮০ শতাংশেরও বেশি সিজারের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল হলেও সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার জন্য সারা দেশে রোগীদের কাছ থেকে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এধরনের ডেলিভারি মা এবং শিশু দু’জনকেই ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়। অনেক গর্ভবতী মা প্রায়ই ব্যথা আতঙ্কের কারণে সন্তান প্রসব করার জন্য অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হন। তবে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করার পরেও তাদের প্রসব পরবর্তী দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁয়ে ইমপাল্স হসপিটাল সম্পূর্ণ আধুনিক সুবিধা সহ একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল যা গর্ভবতী মায়েদের দিচ্ছে স্বাভাবিক ও ব্যাথাবিহীন প্রসবের সুবিধা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য তুলে ধরেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তপন কুমার বিশ্বাস বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ডা. মো. তৌফিক ইসলাম এবং আয়ারল্যান্ড ওয়াটারফোর্ড ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল’র সিনিয়র কনস্যালটেন্ট জিন্নুরাইন জয়গিদার এবং পোর্টিয়নকুলা ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল’র সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ডা. কাজী নাফিজা হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ইমপাল্স হেলথ সার্ভিসেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জাহের আল-আমিন বলেন, সিজারিয়ান কোন মতেই স্বাভাবিক প্রসবের বিকল্প হতে পারে না । আবার আধুনিকতার নিরিখে প্রসবের সময় ব্যাথাও কোনমতে কাম্য নয়। এইসব চিন্তা করেই আমরা গত বছর থেকে ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারী শুরু করেছি এবং যথেষ্ট সাফল্যও অর্জন করেছি ।
সিজারিয়ান প্রসবের কারণে মায়েরা অনেকগুলি সমস্যার সম্মুখিন হয়ে থাকেন। কারণ এটি একটি অপারেশন যা সাধারণ প্রসবের মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব।
সাধারণ ব্যাথাহীন নরমাল ডেলিভারির জন্য যা প্রয়োজন তা হচ্ছে একটি সুসজ্জিত ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত এনেসথিয়েসিস্ট, ২৪ ঘন্টার জন্য সার্বক্ষনিক কনসালটেন্টদের উপস্থিতি, যার মাধ্যমে প্রি-ডেলিভারি, ডেলিভারি এবং ডেলিভারি পরবর্তী সেবা দক্ষতার সাথে করা সম্ভব। ইমপাল্স হসপিটাল হচ্ছে বাংলাদেশে একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেখানে মায়েরা পাবেন সর্বোত্তম ব্যাথাহীন স্বাভাবিক ডেলিভারি সেবা। আর আমরা রুগির সšুÍষ্ঠি অর্জনের জন্য প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগকে আরও বেগবান এবং অত্যাধুনিক করতে হাসপাতালটি বিদেশ থেকে বিশেষ টিম আছে যারা আগামী ১ সপ্তাহ সারাক্ষন এখানে থেকে ইমপালসের সমস্ত ডেলিভারী পরিচালনা করবেন এবং আমাদের স্থানীয় যে দূর্বলতা/ফাঁকফোঁকর রয়েছে তা দূর করতে সক্ষম হবেন ।
ডা. কাজী নাফিজা হামিদ তার উপস্থাপনায় বলেন, উন্নত বিশ্বে সব মা-ই ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি প্রত্যাশা করে থাকে। তারা চায় সন্তান প্রসবেরর পরবর্তি যেসব সেবার দরকার হয় তাও হতে হবে ব্যাথামুক্ত।
এপিডুরাল অ্যানালজেসিয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করতে তিনি বলেন, এটি ব্যবহার করলে রোগীরা সম্পূর্ণ ব্যথা মুক্ত ভাবে তাদের সন্তান প্রসব করতে পারে।
উল্লেখ্য, ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারী সেবার পাশাপাশি স্থানীয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্সদের জন্য কর্মশালা ও হাতে-কলমে চারদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন এই বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য গবেষনায় দেখা গেছে, একশ্রেণীর স্বার্থানেষী মহল আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবে মায়েদেরকে বাধ্য করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।