নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্টের নবীন দল আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হারে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশের ক্রিকেটের ভিত নাড়িয়ে দেওয়া এই হার কোনো ভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের শেষ দিনে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে। এমন সোচনীয় পরাজয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
আজ শেষ দিনে মাত্র ১৭.২ ওভারেই বাংলাদেশের ৪ উইকেট ফেলে দিয়ে ২২৪ রানের জয় পায় আফগানিস্তান। ওতেই প্রতিপক্ষের মাটিতে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রথম জয় পেয়ে গেল আফগানিস্তান। টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ে দলটি ভাগ বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ১৪০ বছর পুরোনো এক রেকর্ডেও।
ফেইসবুকে আক্ষেপের সাথে নিহাদ ফেরদৌস লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর প্রথম টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশ ১০টা আলাদা আলাদা দেশের সঙ্গে হারার গৌরব অর্জন করলো। টেস্ট ইতিহাস থেকে এই রেকর্ড কোনদিন মুছে যাবে না।’’
বাংলাদেশের হারে ক্ষোভ জানিয়ে মো. শামিম লিখেছেন, ‘‘আত্মসম্মানহীন এ জাতিকে আপনি যতই অপমান করেন তাদের কিছুই হবেনা। তাই কিছু বলার দরকার নেই। অভিনন্দন জানায় আফগানিস্তান ক্রিকেট টিমকে।’’
‘‘জিতলেই কোটি টাকা পুরস্কার কিন্ত এমন লজ্জাজনক হারের পরও কোন তিরস্কারের ব্যবস্থা নেই কেন?’’ প্রশ্ন মোহাম্মাদ আলাউদ্দীনের।
শামিম রেজা ফেইসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘৪ জন ব্যাটসম্যান ১৮ ওভার খেলতে পারেনি! তাদের মধ্যে বিশ্বের সেরা সাকিব, সৌম্যও বিদ্যমান। বাংলাদেশকে টেস্ট থেকে বয়কট করা উচিত!’’
আজাদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে বাহিরের কোচ এনে কোন লাভ নেই। যদি প্লেয়াররা নিজের দায়িত্ব পালন না করে দেশপ্রেম' মনে না থাকে শুধু টাকা টাকা করে খেলে। নতুন নিয়ম করা উচিত যে ১১ জন প্লেয়ার খেলবে খারাপ করলে স্যালারি কাটা হবে।’’
‘‘আসলে আমার মতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাবে বাংলাদেশ ১৯ বছর পরও আজ টেস্টের মেজাজটাই ধরতে পারেনি। আসলে আপনি শত্রুপক্ষের তুলনায় সুবিশাল ক্ষমতার অধিকারী হয়েও যদি যুদ্ধক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতির শিকার হন তাহলে বুঝতে হবে আপনার গোঁড়াতেই গন্ডগোল’’ লিখেছেন সৈয়দ শাহজালাল সরকার।
আনিসুর রহমানের মন্তব্য, ‘‘যাদের আফগানদের সাথে খেলা সমতা করার জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে হয় তারা ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিয়ে ঢাংগুলি খেলা অনেক ভাল!’’
সায়েদ আবদু দাবি জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমকে অযোগ্য ঘোষণা করে ছাঁটাই করা হোক! অনুর্ধ ১৯ থেকে যারা আসবে ওরা যতদিন প্রস্তুত না হয় ততদিন অপেক্ষা করা হোক।’’
ফেইসবুক ব্যবহারকারী মাহিউদ্দীন লিখেছেন, ‘‘আমাদের ক্রিকেটের পতনের কারণ হল ঘরোয়া ক্রিকেটে চারদিনের ম্যাচ না হওয়া এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর পরিমাণে চার দিনের ম্যাচ খেলতে না পারার কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এসে তারা ভেঙ্গে পড়ছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে স্পোর্টিং উইকেট না পাওয়া।’’
‘‘বীরের জাতি আফগানেরা। যে জাতির সমগ্র ইতিহাসই যুদ্ধের, যুদ্ধে যারা আমেরিকা-বৃটেন রাশিয়ার মত প্রবল প্রতিপক্ষের দর্প চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে তাদের কাছে ক্রিকেট খেলা কি আর এমন কঠিন কাজ হবে? শুভকামনা রইল তোমাদের জন্য। ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি হয়ে ওঠো কয়েক বছরের মধ্যেই’’ লিখেছেন আদিব।
মো. শাহিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘এই হারে প্রমাণিত হলো দেশের ক্রিকেট কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। বিগত এক যুগে না হয়েছে ক্রিকেট অবকাঠামোর উন্নতি না হয়েছে তামিম সাকিব মুশফিকদের বিকল্প তৈরির কোন প্রয়াস।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।