বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাত্রদলের আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সতর্কমূলক বার্তা দিয়েছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। প্রার্থীরা সাবেক ছাত্র নেতাদের কারো কারো নাম ভাঙ্গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগের পরই এই বার্তা দেয়া হলো। এছাড়া ছাত্রদলের সাবেক দুইজন সভাপতি আওয়ামী পরিবারের একজন সন্তানকে সভাপতি করার ব্যাপারে নিজেরাই ফোন করে ভোট চাইছেন। এমনকি বিভিন্ন জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদেরকে ভোটের ব্যাপারে বলছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণেই ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
সংগঠনের আসন্ন কাউন্সিলের প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়- ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে আমরা সাবেক ছাত্রদল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ বিশেষ করে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে নির্বাচন পরিচালনা, যাচাই-বাছাই ও আপিল কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কিছু প্রার্থী বা তাদের সমর্থকগণ তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে সাবেক কোনো কোনো ছাত্র নেতার নাম ও বিভিন্ন প্রোগ্রামের পুরনো ছবি ব্যবহার করে নিজেদের অনুকূলে প্রচারণা চালাচ্ছেন- এর ফলে কারর মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়, বরং অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করতে চাই যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, সুন্দর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের স্বার্থে আমাদের অবস্থান নির্মোহ ও পক্ষপাতহীন এবং কোনোক্রমেই কোনো বিশেষ প্রার্থীর প্রতি আমাদের কোনো অনুরাগ বা আনুক‚ল্য নেই।
দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চার এ প্রক্রিয়ায় আমরা বিশ্বাস করি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্বদানের যোগ্য নেতৃত্ব কাউন্সিলরগণ বেছে নিতে তাদের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাবেন। আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ দীর্ঘ ২০ মাস স্বৈরাচারের কারাগারে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অবিচারের শিকার হয়ে বন্দী রয়েছেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটিকালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এমনি প্রেক্ষাপটে কাউন্সিলরদের প্রতি আমাদের আহ্বান তারা যেন আগামীর এমন এক ছাত্র নেতৃত্ব নির্বাচন করেন- যারা দেশনেত্রীর কারামুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করে জনগণের ক্ষমতায়নের লড়াইকে যৌক্তিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আমরা সকলপ্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সতর্ক করে বলতে চাই কোনো মহল যেন ছাত্রদলের কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট কমিটিভুক্ত সাবেক কোনো ছাত্র নেতার নাম কোনো ক্রমেই ব্যবহার না করেন। এর অন্যথা হলে দায়ীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।
সাবেকছাত্র নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলরদের প্রতি যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও বিবেকের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার আহবান জানান। বিবৃতিদারা হলেন- শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিররুল ইসলাম খান আলীম, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, রাজিব আহসান, মোঃ আকরামুল হাসান
প্রসঙ্গত, অধিকাংশ প্রার্থীই ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের ছবি যুক্ত করে অনলাইনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের কাছেও একইভাবে অমুক ভাইয়ের অনুসারী বলে উপস্থাপন করছেন। ফলে সাবেক নেতৃবৃন্দের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।