Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওসমানীনগরে আসামী-পুলিশ গোলাগুলি গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:১১ পিএম

সিলেটের ওসমানীনগরে পুলিশ-আসামি সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ট শর্টগুলি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত ১১টায় উপজেলার
উপজেলার গোয়ালাবাজার-উমরপুর রোডস্থ লামা ইসবপুর দক্ষিণ পাড়াগামী পাকা রাস্তার উপর। আহতরা হচ্ছেন, এতে গুরুতর আহত হন, ওসমানীনগর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই ইয়াছির আরাফাত চৌধুরী, কন্সটেবল জীবন চন্দ্র দে, শিমুল ও গুলিবিদ্ধ হয় ধৃত আসামী খোকন বালী (২৮)। সে খুলনার বাগেরহাট এলাকার ধননগর এলাকার জাহাঙ্গীর বালীর ছেলে। এব্যাপারে ওসমানীনগর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ । মামলা নং ১০ ও ১১ ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী নড়াইল জেলার থানা কালিয়া গাজীরহাট পেরুলী গ্রামের ও বর্তমান পাবলা দফাদার পারা (কুলি বাগান), থানা দৌলতপুর, জেলা খুলনার নুর মোহাম্মদ শেখের মেয়ে মোছা: রুনা বেগম আসামী খোকন মিয়া ৯ মান পূর্বে খুুলনার বর্তমান বাসার পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে। আসামী ট্রাক চালক খোকন বাদীর ছেলে কে ট্রাক চালানোর শেখানোর কথা বলে বিবাদীর সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে বিবাদী বাদিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তারা একমত হয়। বিবাদী বিয়ে করতে কালক্ষেপন করে এবং নানা অজুহাতে বিবাদীর মূল্যবান জিনিসিপত্র নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আয় উন্নতির জন্য বিবাদী বাদীকে ঢাকায় নিয়ে যায়। লম্পট কোকন এ সুযোগে গত ১৪ আগস্ট ফুসলিয়ে ইচ্চার বিরুদ্ধে বাদীর মেয়ে মোছা: আয়েশা আক্তারকে (১৩) কে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বাদীর মেয়ের নিখোঁজের ব্যাপারে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করেন। গত ৪ আগস্ট বাদীর মেয়ে আয়েশা বাদীর মোবাইল দিয়ে বিবাদীর পিতার মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় সে ওসমানীনগর থানার কামালপুর গ্রামে আছে এবং পাশবিকতার শিকারে পরিনত। ৮ আগস্ট বিকাল বেলায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদী ঘটনার সত্য পেয়ে ওসমানীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০, তারিখ ৮/৯/১৯। অভিযোগ পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ আয়েশাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে আসামী খোকন বালীর লোকজন পুরিশের গাড়ি প্রতিরোধ করে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ৪ পুলিশ ও ধৃত আসামী আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশ ১১ রাউন্ট গুলি চুড়ে।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওসমানীনগর থানায় দায়ের করা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি খোকন মিয়া। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় আসামির বাবা ও তার কিছু লোকজন আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশের উপর হামলা করে। পরে আমরা শর্টগান দিয়ে ফায়ার করি। এসময় আসামি আহত হয়। আর আমাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হন। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গতকাল সোমবার ভিক্টিম মা ও মেয়েকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুলিবিদ্ধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ