পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতীয় সংসদ। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে এ শোক প্রস্তাব সংসদে এ বিষয় তুলে ধরা হয়।
শোক প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি প্রমুখ। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাও। বক্তব্যে তারা এরশাদের ভালো কাজগুলোর পাশাপাশি সমালোচনাও করেন।
শোক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সংসদ প্রস্তাব করছে যে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবককে হারালো। এ সংসদ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, বিদেহী রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা প্রকাশ করছে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তার নিজের নির্বাচনী এলাকা রংপুরে মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের ব্যাপারে সব সময় আন্তরিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতেন। একটি ছোট্ট জেলার জন্য তার যে মমত্ববোধ দেখেছি, বিশেষ করে রংপুরের জন্য ওই সময়ের জন্য মনে করি। একজন প্রেসিডেন্ট কিভাবে নিজের এলাকার জন্য এভাবে দরদ দেখায়?
তিনি বলেন, এরশাদ জাতির জনককে শ্রদ্ধা করতেন। বিরোধী দলীয় নেতা থাকা অবস্থায় বার বার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখতেন। সবচেয়ে দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক হলো এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে জিয়াউর রহমানের পদ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয় দিয়েছেন। এমনকি তিনি তথাকথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কর্নেল ফারুকের মত ঘৃণিত খুনিকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করেছিলেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক এটা আমি ভুলে যেতে চাই, আজকের দিনে স্মরণ করতে চাই না। কিন্তু এ কথাগুলো বলছি এ কারণে যে, রেকর্ডে থাকবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু শোক প্রস্তাবের আলোচনায় মাত্র ১৭ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেছেন। আমু বলেন, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুজনিত কারণে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছে। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। দোষে-গুণে মানুষ সেগুলো আজকে আলোচনা না করাই ভালো। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি- এই কথা বলেই তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।