নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসকে উপলক্ষ্য করে বর্তমানে নিবিড় অনুশীলনে মগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা। কয়েকমাস ধরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে রয়েছেন তারা। সব ডিসিপ্লিনেরই আশা নেপাল এসএ গেমসে ভালো করা। এ ধারাবাহিকতায় নেপালে স্বর্ণপদক জিততে চায় বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন। বর্তমানে পল্টন ময়দান সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের বক্সাররা অনুশীলন করলেও লক্ষ্যপূরণে গেমসের আগে তাদেরকে দু’মাসের প্রশিক্ষণে থাইল্যান্ড পাঠাবে ফেডারেশন। শুধু তাই নয়, উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকা থেকে কোচও আনার চেষ্টা করছেন বক্সিং ফেডারেশনের কর্তারা। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো। ছেলে-মেয়েদের থাইল্যান্ডে নিবিড় প্রশিক্ষণ করানো হবে। সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন কেবল তাদের যাওয়ার অপেক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসএ গেমসে স্বর্ণ পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর আমরা। তাই জাতীয় দলের বক্সারদের উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য ইউক্রেন থেকে কোচ আনা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খরচ বেশি হলেও থাইল্যান্ডে নিবিড় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে বক্সারদের। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জেতা। এর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।’
সর্বশেষ ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসের আগেও থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণ করানো হয়েছিল লাল-সবুজের বক্সারদের। উন্নত প্রশিক্ষণের ফলে ওই আসরে ভালো ফলও পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় ১১তম এসএ গেমসে দু’টি স্বর্ণ, একটি রুপা ও দু’টি ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন স্বাগতিক বক্সাররা। তবে পরের আসরে ভারতের গৌহাটিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় লাল-সবুজরা। ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে মাত্র চারটি ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। তাই ঢাকা এসএ গেমসের গৌরব ফিরিয়ে আনতে এখন মরিয়া বক্সিং ফেডারেশন। নয় বক্সারসহ ১৫ জনের একটি দলকে দু’মাসের জন্য নিবিড় ক্যাম্প করতে থাইল্যান্ড পাঠাবে তারা। বক্সাররা হলেন- সজীব হোসেন (৪৯ কেজি), আরিফুল ইসলাম (৫২ কেজি), রবিন মিয়া (৫৬ কেজি), সুর কৃষ্ণ চাকমা (৬০ কেজি), আল-আমিন (৬৪ কেজি), আবদুর রহিম (৬৯ কেজি), আরিফ হোসেন (৭৫ কেজি), আনিতা ইসলাম তানিয়া (৫৪ কেজি) ও শামীমা আক্তার (৫৭ কেজি)। বক্সার নির্বাচন প্রসঙ্গে এসএ গেমসের সমন্বয়কারী ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘তিনমাসের আবাসিক ক্যাম্পের পর আমরা সামগ্রিক বিবেচনায় এই নয়জনকে নির্বাচিত করেছি থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণের জন্য। যেখানে কোচ, নির্বাচকদের মতামত অগ্রগন্য ছিল।’
নয় বক্সারের সঙ্গে আরো তিনজন যাবেন স্টান্ডবাই হিসেবে। এছাড়া দলের সঙ্গে যাচ্ছেন প্রধান কোচ ইউক্রেনের জেদেভিচ ও স্থানীয় কোচ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। জেদেভিচ এখনো ঢাকায় আসেননি। তিনি আসার পরই দল নিয়ে থাইল্যান্ডে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।