নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ছোট্ট একটি কক্ষ। খুব বেশী হলে এর আয়তন হবে প্রায় ১৫ বর্গ ফুট। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামস্থ বাংলাদেশ ক্যারম ফেডারেশনের অফিস এটি। এখানেই শুক্রবার শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী সামার হিট ওপেন ক্যারম টুর্নামেন্ট। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন টুরিস্ট পুলিশের এসপি আশরাফুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ লিয়ন ও কোষাধ্যক্ষ হাসনাইন ইমতিয়াজ শিহাব। সরেজমিনে শুক্রবার ক্যারম ফেডারেশন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৫ বর্গ ফুট আয়তনের একটি কক্ষে চারটি ক্যারম বোর্ড। প্রত্যেকটি বোর্ডের ওপর একটি করে বাল্ব জ্বলছে। একেকটি বোর্ডে দু’জন খেলোয়াড়। কক্ষে স্বাচ্ছন্দে হাঁটার পথ পর্যন্ত নেই। বরিক পাউডারের আধিক্যে সেখানে বসা দায়। এমন একটি কক্ষেই সামার হিট ওপেন ক্যারম টুর্নামেন্টে খেলছেন প্রায় অর্ধশতাধিক খেলোয়াড়। ৪০ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী খেলোয়াড়ের অংশগ্রহনে শুরু হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। যে আসরে খেলছেন দেশসেরা পুরুষ খেলোয়াড় হেমায়েত মোল্লা এবং নারী খেলোয়াড় শামসুন নাহার মাকসুদা।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ লিয়ন বলেন, ‘সামার হিট ওপেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বার্ষিক ক্যালেন্ডারের একটি ইভেন্ট। যা আমরা নিয়মিত আয়োজন করে থাকি। স¤প্রতি আমরা সফলভাবে জাতীয় ক্যারম চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবদান কম নয়। ১৯৯৯ সালে মালদ্বীপে নাদি নাইট ক্যারম চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৫ সালে ভারতের কলকাতায় পদ্মা-গঙ্গা স¤প্রীতির ক্যারম টেস্ট ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা। ২০১৪ সালে ভারতে ১৪ দেশের অংশগ্রহণে বিশ্ব ক্যারম প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ব্রোঞ্জপদক জিতেছে। পরের বছরও বিশ্ব ক্যারমে লাল-সবুজের পুরুষরা দলগতে ব্রোঞ্জ জয় করে দেশের মান বাড়ান। এছাড়া ওই আসরের দ্বৈতে হেমায়েত ও হাফিজ চতুর্থ হন।’
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাদের একাধিক অর্জন তারা কেন বড় কোন কক্ষে ঘরোয়া আসর আয়োজন করতে পারেনা? এমন প্রশ্নে লিয়নের উত্তর,‘আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের সাফল্য একাধিক হলেও এখন পর্যন্ত এনএসসি’র কাছ থেকে আমরা বড় কোন কক্ষ বরাদ্দ পাইনি। যেখানে এক সঙ্গে শতাধিক খেলোয়াড় খেলতে পারেন। এনএসসি সহযোগিতা না করলে বড় কোন কক্ষে ঘরোয়া আসর আয়োজন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা আশাকরি সহসাই এনএসসি আমাদেরকে বড় একটি কক্ষ বরাদ্দ দেবে, যেখানে ছেলে-মেয়েরা এক সঙ্গে খেলতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।