পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে বলেছেন, এ বন্দরের আরও আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। বে-টার্মিনালের ব্যাপারটি চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল বুধবার বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নবগঠিত চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী শিগগির বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে জানিয়ে এ ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারসহ বন্দর সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অগ্রগতি ও সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা কথা বলেছেন। বিশেষ করে বে-টার্মিনালের ব্যাপারে কথা বলেছেন, যেন দ্রæত হয়।
খালিদ মাহমুদ বলেন, অবৈধভাবে যে বাল্ক হেড যে চলে তা বন্ধে ডিজি শিপিংকে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের ব্যাপারে কিছু অবজারভেশন আছে। সেগুলো বাস্তবায়নে কীভাবে স্টেক হোল্ডাররা পদক্ষেপ নেবেন সে ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আধুনিক করার ব্যাপারে সবাই মতামত জানিয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম অবস্থানে আসায় সবাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্টেক হোল্ডাররা মোটামুটি সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তাদের সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে বন্দর ৫০ ধাপে আসবে। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে। এক্ষেত্রে চীন ও ভারত আমাদের পেছনে আছে। আমাদের সক্ষমতা আছে। অনেক চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবেলা করতে পারি। পদ্মা সেতু তার একটি উদাহরণ। দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা মর্যাদার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বøু ইকোনমি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। আমাদের অর্থনীতিতে মেরিটাইম সেক্টরে যথেষ্ট গুরুত্ব আছে সরকারের।
বন্দরে কন্টেইনার ও বহির্নোঙরে জাহাজ জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নানা কারণে জট হচ্ছে। বহির্নোঙরে এখনো নাভিশ্বাস উঠে যায়নি। স্বাভাবিক আছে। নিয়ন্ত্রণের ভেতরে রয়েছে। আকাশ পরিবহন, সমুদ্র বা নৌ পরিবহন প্রকৃতির ওপর অনেক সময় নির্ভরশীল হতে হয়। সড়ক, রেল যোগাযোগে অব্যবস্থাপনা ও কাস্টমসের দুর্বলতা মোকাবেলা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ডেলিভারি সহজ করার জন্য নতুন স্ক্যানার বসানো হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদন করে দিয়েছে। স্ক্যানার বসানো হলে বন্দরের গতিশীলতা আরও বেড়ে যাবে।
উপদেষ্টা কমিটির সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম বন্দরকে অর্থনীতির লাইফলাইন উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরের উন্নয়নে আন্তরিক। তিনি বে-টার্মিনালের মতো প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দ্রæত বাড়ানো প্রয়োজন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সাথে সমগ্র দেশের উন্নয়ন জড়িত। এ বন্দরের উন্নতির সাথে পুরো রিজিয়নের উন্নতি নির্ভর করে।
উপদেষ্টা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ওয়াসিকা আয়েশা খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সিঅ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।