পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা করতে জাতীয় পার্টির প্যাডে পাঠানো চিঠি নিয়ে আপত্তি তুলে দলটির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ চিঠি দিয়েছেন স্পিকারকে। বুধবার বিকালে স্পিকারের কার্যালয়ে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে জিএম কাদেরের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা গ্রহণ না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে সংসদ ভবনের স্পিকার দফতরে এ চিঠি পৌঁছে দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় বৈঠকে বসেন জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও সংসদ সদস্য। বৈঠকে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্ধারণ করতে স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠির বিরোধিতা করেন তারা। এ সময় রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকারের কাছে চিঠি পায়।
বৈঠক শেষে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) স্পিকারকে সম্বোধন করে লিখেছেন, ‘আপনি আমাকে বিরোধীদলীয় উপনেতা বানিয়েছেন। আমাদের নেতা মারা যাওয়ার পর সংসদ সদস্যরা আমাকে নেতার কাজ চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেন। শুনতে পারলাম, একজন নিজেকে পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা করার জন্য আপনাকে চিঠি দিয়েছেন। আপনাকে জানাতে চাই, নেতা নির্বাচন করার এখতিয়ার পার্লামেন্টারি পার্টি সংরক্ষণ করে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে'।
চিঠিতে রওশন এরশাদ আরও বলেন, ‘৩ সেপ্টেম্বর পাঠানো চিঠিকে ইগনোর করার অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে জানাতে চাই, উনি পার্টির চেয়ারম্যান নন, উনি হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান'।
আগের দিন মঙ্গলবার দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি দেয় জাতীয় পার্টি। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল স্পিকারের দফতরে চিঠি পৌঁছে দেয়।দলের ২২ জন সংসদ সদদ্যের মধ্যে ১৫ জন এতে স্বাক্ষরও করেন। তবে স্পিকার দেশের বাইরে থাকায় তিনি নিজে চিঠি গ্রহণ করতে পারেননি।
এ অবস্থার মধ্যে বুধবার রওশন এরশাদ করণীয় ঠিক করতে তার বাসায় জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে ‘এমন চিঠি দেয়ার এখতিয়ার জিএম কাদেরের নেই' বলে সাফ জানিয়ে দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা হবে রওশন এরশাদই'।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি কমিটির কোনো বৈঠক ছাড়া স্পিকারকে দেয়া জিএম কাদেরের চিঠিটির কোনো দাম নাই'।
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘জিএম কাদের পার্লামেন্টারি কমিটির কোনো বৈঠক না করেই লুকিয়ে এই চিঠি দিয়ে থাকলে আমি ও আমরা সে বিষয়ে কিছু জানি না’।
তিনি বলেন, ‘আমি তো এক নগণ্য এমপি। আমাকে তো কোনো নোটিস বা ফোন দেয়া হয়নি। যে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে শুনছি, সেটি প্রপার না’।
পরে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রওশন এরশাদ তার নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। এতে দলের রাজনীতি নিয়ে তিনি নিজেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসছেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ। তিনি দলের কো-চেয়ারম্যানের পাশাপাশি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্বেও রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।