নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এক প্রস্তুতি ম্যাচ পাল্টে দিয়েছে দু’দলের ভাবনাই। সাকিব-মুশফিকরা না খেললেও বাংলাদেশ জাতীয় দলেকেই তো প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাদমান-বিজয়রা-সোহানরা। অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মিশেলে থাকা বিসিবি একাদশ কচুকাটা হয়েছে ক্ষুরধার আফগান স্পিনে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের ঐ ম্যাচে ‘বাংলাদেশকে’ ১২৩ রানে গুটিয়ে দেয়ার কৃতত্বি আফগান দুই স্পিনার রশিদ খান আর জহির খান।
একদিকে আসল টেস্টের আগে স্বাগতিকদের এভাবে কুপোকাত করায় আত্মবিশ্বাস তরতরিয়ে বেড়েছে অভিজাত এই ফরম্যাটের নবাগত দেশটির অন্যদিকে এই ঘূর্ণির জুজুতেই ম্যাচের ছক কষতে হচ্ছে বাড়তি হিসেব করে। চট্টগ্রাম থেকে তাপস বড়–য়া রুমুর পাঠানো তথ্যের উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট সাজিয়েছেন ইমরান মাহমুদ
লেগ স্পিন, চায়নাম্যানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তি বরাবরের। রশিদ খানকে নিয়ে দুর্ভাবনা তো ছিলই। আছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের পর যোগ হয়েছে জহির খানকে নিয়ে বাড়তি ভাবনা। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, আফগান এই চায়নাম্যান বোলারকে সামলাতে আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েই তৈরি বাংলাদেশ দল। তার বোলিংয়ের ভিডিও দেখেছে দল। আলোচনা হয়েছে সামলানোর উপায় নিয়ে।
রশিদ খান এমনই এক লেগ স্পিনার যিনি যেকোনো উইকেটে বল ঘোরাতে একেবারে সিদ্ধহস্ত। যার প্রমাণ রেখেছেন এম এ আাজিজেও। প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহানদের তিনটি উইকেট। তরুণ জহির খান তো আরো ক্ষুরধার। ১১.৩ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট থলিতে পুরে স্বাগতিক শিবিরকে নিয়ে গেছেন খাঁদের কিনারে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মোট ১১ উইকেটের ৮টিই ছিল এই দুই স্পিনারের দখলে। ভাগ্যিস মোহাম্মদ নবী জ্বলে উঠেননি! তাই বলে যে মূল ম্যাচে উঠবেন না তার নিশ্চয়তাই বা কি? হয়ত আসল টেস্টের জন্য এখনও তুলে রেখেছেন রসদ। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে নিজের সেরাটি বের করে আনবেন।
৫-৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের টেস্ট ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই টপ অব দ্য টপিক ছিল আফগানদের স্পিন বিভীষিকা। যা এই প্রস্তুতি ম্যাচে নিজ চোখে দেখেছেন ডমিঙ্গো। সে কারণেই হয়ত গতকাল জহুর আহমেদের সম্মেলন কক্ষে দলটির স্পিন আক্রমনের ভয়াবহতা নির্দ্বিধায় স্বীকার করলেন নবনিযুক্ত এই কোচ, ‘ওরা আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আমরা দেখেছি ওদের বোলিং আক্রমণ কতটা ভয়ংকর। যদিও এটা ভিন্ন ফরম্যাট। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সামনের তিন দিন ওদের বোলিং আমাদের জন্য সত্যিই হুমকি।’
২০ বছর বয়সী জহিরের এখনও টেস্ট অভিষেক হয়নি। আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা বলতে কেবল একটি ওয়ানডে ম্যাচ। তবে দুই মৌসুমে খেলেছেন বিপিএলে। গত আসরে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন জহির। আগের মৌসুমে খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। খেলেছেন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে। পরিচিত হয়ে উঠেছেন মোটামুটি। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান একমাত্র টেস্টের আগে তাকে নিয়ে আলোচনার মূল কারণ প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স। চট্টগ্রামের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেবল ২৪ রান দিয়ে। জহিরকে ভালোভাবে সামলাতে আত্মবিশ্বাসী তার দল, ‘আমরা গতকাল (পরশু) তার কিছু ফুটেজ দেখেছি। আমাদের কয়েকজন তাকে বিপিএলে ও বিশ্বের অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় কিছুটা খেলেছে। দেখুন, দিনশেষে প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে এত ভাবা যাবে না। টেস্ট ম্যাচ আর গা গরমের ম্যাচ পুরো ভিন্ন। তার জন্য শুভ কামনা। তবে আমাদের ছেলেরা প্রস্তুত। যারা ওকে খেলেছে, তারা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছে কিভাবে সামলানো যায়। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভালোই সামলাতে পারব।’
সব কিছু ঠিক থাকলে এক দিন বাদে সাদা পোশাকে এই প্রথম বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে টেস্ট ক্রিকেটে মাত্রই পা রাখা আফগানিস্তান। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ খেলছে ১৯ বছরের ও বেশি সময় ধরে। তারওপর গেল ৪ বছর নিজেদের কন্ডিশনে সাকিবরা ছিল অপ্রতিরোধ্য। ক্রিকেটে সব সময়ের শক্তিধর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের মাটিতে হারানোর অভিজ্ঞতা এখনো টাটকা। মানে অভিজ্ঞ একটি দলের সামনে এই ফরম্যাটে রশিদ খানদের পুঁচকে ভেবে টাইগার ড্রেসিংরুম নির্ভার থাকতেই পারে। কিন্তু ডমিঙ্গো ওই পথে হাঁটতে চাচ্ছেন না, ‘অবশ্যই আমাদের ড্রেসিংরুম রিল্যাক্স নয়। গত দুই সপ্তাহ আমরা সেই প্রস্তুতিটিই নিয়েছি যেটা একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিতে হয়। আফগানিস্তানকে হারাতে আমাদের সেরা খেলাটিই খেলতেই হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।