বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে পাবনাবাসীর দীর্ঘ ৪৬ বছরের দাবী ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী দখল মুক্ত কররণ করে সচল করার কাজ শুরু করেছেন জেলা প্রশাসন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা নদী , জলাশয় দখল দূষণ মুক্ত করার ঘোষণায় দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন পাবনা ইছামতি নদীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা এবং বৈধ স্থাপনা ও উচ্ছেদ করছেন। সোমবার বিকালে নদী উৎসমখ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। নদীটি সচল করে এর বুকে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলে তারা প্রকৃত মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই অভিযান আজও চলেছে।
পাবনা সদর উপজেলার চর শিবরাম পুর স্লুইস গেট এলাকায় ইছামতি নদীর উৎস মুখ থেকে এই শুরু করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে ইছামতি নদীর মুখে স্থাপিত অবৈধ ইটভাটা ও পাকা ভবন ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ছিলেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল হক উপস্থিত থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে সকল নদী সচল করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। পাবনাতেও ইছামতি নদী উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। আপাতত নদীর উৎস মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সকল স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। ধারাবাহিক ভাবে নদী দুইপাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে অবৈধ দখলদারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে নিজ নিজ অবৈধ স্থাপনা নিজেরাই ভেঙ্গে নিয়ে যান। এ সময় ইট ভাটা, নদীতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে এই রকম রাস্তা, বাঁধ ও দালান এক্সকেভটরের সাহায্যে গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন ।
প্রসঙ্গত: পাবনা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত এক কালের ¯্রােতবাহী ইছামতি নদী পথে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুর কাছারী বাড়িতে গেছেন। তিনি পাবনার জিসিআই স্কুলে এক সম্মেলনে যোগ দিতে এই নদী পথেই এসে ছিলেন।
৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ইছামতি পথে পাবনার সাথে ঢাকা নৌ বাণিজ্য ছিল। বড় ইস্টিমার, গয়নার নৌকায় পন্য নিয়ে মানুষজন ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। পদ্মা নদী থেকে উৎসারিত এই নদীকালের ধাক্কায় শুকিয়ে মরা খালে পরিনত হয়। এরপর দিনে দিনে চলে অবৈধ দখল। নদীর দুই পাড়ে গড়ে তোলা ইমারত, কাঁচা-ঘর-বাড়ি, কোনো কোনো স্থানে দোকান পাট ।
পাবনা জেলার মানুষ নদী দখলমুক্ত করে খননের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিলেন ,পাবনা জেলা প্রশাসন। ঐতিহ্যবাহী নদী অবৈধ দখল মুক্ত করণ শুরু হয়েছে এরপর নদী খনন কাজ হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।