Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিতাসের বুকে বর্ণিল নৌকাবাইচ

হাজারো মানুষের মিলনমেলার একদিন

খ, আ, ম, রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভাটি অঞ্চল খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লোকজ ক্রীড়ার মধ্যে বেশীর ভাগই তিতাস নদীকে ঘিরেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এমনই একটি লোকজ ক্রীড়ার নাম নৌকা বাইচ। তিতাস নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী এমনই একটি আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছিল শহর ও এর আশপাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ হারাতে বসেছে। ঠিক তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিতাস নদীতে হয়ে গেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। প্রচার-প্রচারনার কোন কমতি ছিলনা। মাইকিং, পোষ্টারিং, স্থানীয় ডিশ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান।
গত রোববার বিকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা এবং পাশ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের নিকলী থেকে মোট ১৩টি দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর বিভিন্ন রঙের বাহারি পোশাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠা ফেলার ছপ ছপ শব্দে একাকার হয়ে গিয়েছিল তিতাস নদী।
উৎসব আমেজে নৌকা বাইচ দেখতে তিতাস পাড়ে ভীড় জমায় জেলার ও আশপাশ উপজেলা এমনকি পাশ্ববর্তী জেলার নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের লোকজন। নিস্তব্দ তিতাস পাড় দুপুর থেকেই হয়ে উঠে হাজার হাজার মানুষের কোলাহলে মুখরিত।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের দক্ষিণ প্রান্তের শিমরাইলকান্দি নদী ঘাট এলাকায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে মেড্ডার কালা গাজির মাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয় নৌকা বাইচ। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
প্রথম স্থান অধিকারী সরাইল উপজেলার ওসমান উল্লাহর দলকে ফ্রিজ ও নগদ ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি দলকে সনি এলইডি টিভি এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী নবীনগরের মোর্শেদুল ইসলাম লিটনের দলকে এলইডি টিভি দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি মাইক্রোওভেন প্রদান করা হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিলনমেলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ