বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভাষার টানে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমী মানুষের মিলনমেলা বসেছে বেনাপোলে। গতকাল বেনাপোল চেকপোস্ট নোমান্সল্যান্ড এলাকায় সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ।
সকালে নোমান্সল্যান্ডে নির্র্মিত অস্থায়ী শহিদ বেদিতে যৌথভাবে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাংলাদেশের পক্ষে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য ও সংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। এছাড়া শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী, ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক মেজর নজরুল ইসলাম, ভারতের বঁনগা লোকসভার সাংসদ শ্রীমত্যা মমতা ঠাকুর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি বীনা মন্ডল, ও বিধানসভা বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিৎ দাস, বনগাও পৌরসভার মেয়র শ্রী শংকর আঢ্য ।
দু’দেশের বেনাপোল ও বনগাও পৌরসভা যৌথভাবে এই মিলন মেলার আয়োজন করে। সীমান্ত এলাকায়সহ নানা রং এর ফেস্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্নিল সাজে সাজানো হয় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা । ভাষার টানে বাঙালির বাঁধন হারা আবেগের কাছে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দুই বাংলা। এসময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উভয়কে বরণ করে নেয়া
এসময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক বলেন আমি বাঙালি, এটা আমার অহংকার, কাঁটাতারের বেড়া আমাদের বন্ধনকে আটকাতে পারবে না, আগামী ২০ বছরের মধ্যে দুই বাংলা এক হয়ে যাবে। কাঁটাতারের বেড়া আর থাকবে না। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য বলেন, ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছে, তাদের রক্ত বৃথা যায়নি।
মিলনমেলায় বিজিবি বিএসএফকে দুদেশের জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শুভেচছা বিনিময় করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানে নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। কড়াকড়ি আরোপ করা হয় দুই সীমান্তে।
বেনাপোল পেট্রাপোল চেকপোস্টে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে দুই সীমান্তে। সীমান্ত টপকে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ কাঁটাতারের বেষ্টনী ও বাঁশের বেড়া দিয়ে কঠোর নিরাপওা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।